উত্তর: সুন্নাত ছালাত আদায়ের ফযীলত অনেক। সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের উচিত সুন্নাত ও নফল ইবাদতের প্রতি আগ্রহী হওয়া। উম্মু হাবীবা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘দিন ও রাতে যে ব্যক্তি মোট বারো রাকআত (সুন্নাত) ছালাত আদায় করে তার বিনিময়ে জান্নাতে ঐ ব্যক্তির জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। এ সুন্নাতগুলো হলো- যোহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাকআত ও পরে দুই রাকআত, মাগরিবের (ফরযের) পর দুই রাকআত, এশার (ফরযের) পর দুই রাকআত এবং ফজরের (ফরযের) পূর্বে দুই রাকআত’ (ছহীহ মুসলিম হা/৭২৮; তিরমিযী, হা/৪১৪)। আবার কিয়ামতের দিন ফরয ইবাদতের ঘাটতি হলে আল্লাহর হুকুমে নফল ইবাদতের নেকী দ্বারা তা পূর্ণ করা হবে (আবূ দাঊদ, হা/৮৬৪; তিরমিযী, হা/৪১৩)। তবে অবজ্ঞা না করে অলসতা বা কোনো কারণবশত সুন্নাত ছেড়ে দিলে সমস্যা নেই। আর কোনো ব্যক্তি নফল ছালাত ছাড়ার কারণে গুনাহগার হয় না। তবে অবশ্যই তিনি বড় ধরনের ফযীলত থেকে বঞ্চিত হবেন।
প্রশ্নকারী : আতাউর রহমান
দিনাজপুর।