উত্তর : আমাদের নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যান্য যত নবীর কথা জানা যায় সকল নবীকে বিশ্বাস করতে হবে এবং নবী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। আর তাদেরকে ভালোবাসার অর্থ তাদের প্রতি ঈমান রাখা। তবে অনুসরণ করতে হবে শুধু শেষ নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর। কেননা মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর আগমণের পর অন্য কোনো নবীর অনুসরণ জায়েয নয়। এমনকি অন্য কোনো জীবিত থাকলে তাদের জন্যও মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর অনুসরণ ছাড়া গতি থাকতো না। জাবের রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, উমার ইবনুল খাত্তাব রযিয়াল্লাহু আনহু তাওরাতের একটি নুসখা/কপি নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এটি তাওরাতের একটি নুসখা। তখন (একথা শুনে) তিনি চুপ করে থাকলেন। তখন উমার রযিয়াল্লাহু আনহু তা পাঠ করতে শুরু করলেন এবং এতে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। তখন (তা দেখে) আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, সন্তানহারা শোক তোমাকে আচ্ছন্ন করুক! তুমি কি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারার দিকে তাকাওনি? তখন উমার রযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি আল্লাহর নিকট আল্লাহর গযব ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমরা আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, সেই সত্তার কসম! আজ যদি মূসাও প্রকাশিত হতেন আর তোমরা তাকে অনুসরণ করতে এবং আমাকে পরিত্যাগ করতে, তবে অবশ্যই তোমরা সরল-সোজা পথ হতে বিচ্যুত হতে। আর যদি তিনি জীবিত থাকতেন এবং আমার নবুয়তী সময় পেতেন, তবে তিনি অবশ্যই আমার অনুসরণ করতেন’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/২৬৪৬১)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।