উত্তর: মুখে উচ্চারণ না করলে সমস্যা নেই। তবে উচ্চারণ করা যাবে না। কেননা তা কালামুন নাস (ব্যক্তিগত কথা) হিসাবে গণ্য হবে যা ছালাতে সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ। মু’আবিয়া ইবনু হাকাম রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অবশ্যই ছালাত মানুষের কথা-বার্তা বলার ক্ষেত্র নয়, এটা তো কেবল তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠের জন্যই সুনির্দিষ্ট (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৩৭)। তাই তা নিজের ভাষা ব্যতিরেকে শরীআত কর্তৃক বর্ণিত দু‘আর মাধ্যমে হতে হবে। (১سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى (২) سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي (৩) سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ (৪) اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلَانِيَتَهُ وَسِرَّهُ ইত্যাদি। আরো কিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে ছালাত শেষে বা অন্য যেকোনো সময় হাত তুলে দু‘আ করতে পারে। সালমান রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক সম্মানিত ও লজ্জাশীল। যখন কোনো বান্দা তার কাছে দুই হাত উত্তোলন করে তখন তিনি খালি হাত ফেরত দিতে লজ্জাবোধ করেন’ (আবূ দাউদ, হা/১৪৮৮)।
প্রশ্নকারী : মাজহারুল ইসলাম
শিবগঞ্জ, বগুড়া।