কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪০) : এফিলিয়েইট মার্কেটিং বৈধ কি?

উত্তর : এফিলিয়েইট মার্কেটিংকে অনেকে এ্যাসোসিয়েট মার্কেটিং, আবার কেউবা রেফারেল মার্কেটিং বলে থাকেন। বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে এই প্রকার মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই মার্কেটিংয়ের সারমর্ম হচ্ছে ‍SOPS বা  Selling other people's stuff. (অন্যের পণ্য বিক্রয় করা বা দালালী করা) অর্থাৎ এফিলিয়েইট তার সাইটে বিক্রেতার সাইট বা পণ্যের লিংক প্রদান করে থাকে। ক্রেতা বা কাস্টমার সেই লিংকে ক্লিক করে সহজেই বিক্রেতার সাইটে চলে যায় এবং পণ্য ক্রয় করে। বিনিময়ে বিক্রেতা এফিলিয়েইট সাইটকে শতকরা কিছু টাকা বা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (কমিশন) প্রদান করে। এ সকল পদ্ধতিতে কমিশন বা বেতন অনির্দিষ্ট বা অনিশ্চত। উক্ত ব্যবসার কিছু পদ্ধতি জায়েয হলেও বেশির ভাগ স্থানে তা ইসলমী অর্থনীতির সাথে সাংঘর্ষিক এবং তাতে ধোঁকা ও হারামে পতিত হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। পদ্ধতিভেদে শরীআতের বিভিন্ন বিধান রয়েছে যা দীর্ঘ আলোচনা সাপেক্ষ। তবে নিম্নে তার মৌলিক কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো যা উক্ত পদ্ধতিগুলোর সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ১. মূল সাইটে হালাল-হারাম অনেক পণ্য থাকে, কেউ নিজ সাইটে হালাল পণ্যের লিংক রেফার করলেও দ্বিতীয়জনের কাছে হারাম পণ্যের লিংক চলে যায়। তাই হারামের পথ দেখানোর কারণে সে ক্রেতার সমান পাপী হবে (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৭; সুনানে দারেমী, হা/৫২১)। ২. বর্ধিত মূল্যে বিক্রয় (মুসলিম, হা/১৬০৫; ইবনে মাজাহ, হা/২১৫৫; মিশকাত, হা/২৮৯২)। ৩. হারামে নিপতিত হওয়ার সন্দেহ। ইসলাম সন্দেহযুক্ত বিষয়কে সমর্থন করে না। (তিরমিযী, হা/২৫১৮; মিশকাত, হা/২৭৭৩)। ৪. শ্রমবিহীন বিনিময় এবং বিনিময়বিহীন শ্রম, যা ইসলামী আইন বহির্ভূত।

প্রশ্নকারী : মনিরুযযামান শুভ

দিনাজপুর সদর।


Magazine