উত্তর: ছালাত পড়া যাবে না একথা ঠিক নয়। কেননা অত্র হাদীছে ছালাত হবে না এ কথা বলা হয়নি। তবে, কাতারের ফাঁকা বন্ধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যারা কাতারগুলো মিলিয়ে রাখে তাদের প্রতি আল্লাহ এবং তার ফেরেশতাগণ রহমত বর্ষণ করেন। যে ব্যাক্তি কাতারের ফাঁক বন্ধ করে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেন (মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/৩৮২৪; আল মুজামুল আওসাত্ব, হা/৫৭৯৭)। নু’মান ইবনু বশীর রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নিবে, তা না হলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে দেবেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭১৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৩৬)। আর প্রশ্নোল্লিখিত হাদীছের অনুবাদ হলো- আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কাতার সোজা করো, কাঁধের সাথে কাঁধ মিলাও, কাতারের মধ্যকার ফাঁকা যায়গা পূর্ণ করো, ডানা নরম করো (আবূ ঈসা বিআইদি ইখওয়ানিকুম অংশটুকু বলেননি) তোমরা শয়তাদের জন্য ফাঁকা যায়গা রেখে দিয়ো না। ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক রাখবে। আর যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে না/কাতার বিচ্ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন’ (নাসাঈ, হা/৮২৭)। বর্ণিত হাদীছের আলোকে বলা যেতে পারে যে, যারা কাতার মিলানোর পক্ষে নয় তারা রহমত থেকে বঞ্চিত হবে এবং যারা কাতার মিলনোর পক্ষে কিন্তু মিলাতে পারছে না তারা কাতার মিলানোর নিয়্যত থাকার কারণে রহমত থেকে বঞ্চিত হবে না। উল্লেখ্য যে, জনৈক ব্যক্তির শেষের কথাটুকু গ্রহণযোগ্য যা এই হাদীছে বর্ণিত হয়েছে।
প্রশ্নকারী : হুসনে মুবারক