উত্তর: এ রকম কথা বলা যাবে না; বরং বলতে হবে, আল্লাহ তাআলা (একাই) আমাকে সাহায্য করবেন। যেমনটা আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সূরা ফাতিহার মধ্যে শিক্ষা দিয়েছেন, ‘আমরা শুধু আপনারই ইবাদাত করি এবং শুধু আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি’ (আল-ফাতিহা, ১/৫)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোনো প্রকারের সাহায্যের আশা রাখা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, আমি কেবল তোমাদের মতো একজন মানুষ’ (আল-কাহফ, ১৮/১১০)। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় মানুষ হিসেবে এমন কাজে সাহায্য করতে পারতেন, যা মানুষের জন্য সম্ভব। অতঃপর তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল’ (আয-যুমার, ৩৯/৩০)। সুতরাং অন্যান্য মানুষ যেমন মৃত্যুর পর কোনো প্রকারের সাহায্য করতে পারে না, তেমনই আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কোনো প্রকারের সাহায্য করতে পারবেন না। আর এরূপ আক্বীদা রাখলে তাঁর সম্মানে কোনো ঘাটতিও আসে না। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘তোমরা আমার প্রশংসা করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমন ঈসা ইবনু মারইয়াম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে খ্রিষ্টানরা বাড়াবাড়ি করেছিল। আমি তাঁর বান্দা, তাই তোমরা বলবে, আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৪৫)।
প্রশ্নকারী : হাবিবুর রহমান
আলপাকা, পত্নীতলা, নওগাঁ।