উত্তর: হজ্জের প্রকারগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম হলো তামাত্তু হজ্জ। সেটি হলো, হজ্জ পালনকারী হজ্জের মাসগুলোতে উমরা এর ইহরাম বেঁধে মক্কাতে প্রবেশ করবে এবং উমরা পুরা করে ইহরাম থেকে হালাল হবে। তারপর হজ্জ করা পর্যন্ত হালাল অবস্থায়ই থাকবে আর তার পক্ষে যেমন কুরবানী করা সম্ভব তেমন তাকে কুরবানী করতে হবে। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। আমরা মক্কাতে পৌঁছালে তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে হালাল হওয়ার এবং এ ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিবর্তন করার নির্দেশ দিলেন। আমাদের জন্য তার এ নির্দেশ কঠোর মনে হলো এবং আমাদের মনোকষ্ট হলো। এ খবর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছল। আমাদের জানা নেই যে, তিনি কি অহীর মাধ্যমে এ খবর পেয়েছেন, না কেউ তার কাছে এ কথা পৌঁছিয়েছে? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হে জনগণ! তোমরা ইহরাম থেকে হালাল হও। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে আমিও তোমাদের অনুরূপ করতাম’। জাবির রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তারপর আমরা ইহরামমুক্ত হলাম, এমনকি স্ত্রী সঙ্গম এবং স্বাভাবিক অবস্থায় সাধারণত যা করা হয়, তাই করলাম। অতঃপর তালবিয়ার দিন (৮ যিলহজ্জ) আমরা (মিনা ও আরাফার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য) মক্কা ত্যাগ করলাম এবং হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম (ছহীহ বুখারী, হা/১৫৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৬)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান
নরসিংদী।