কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৫): জমি বন্ধক বা কট নেওয়া বা দেওয়া যাবে কি?

উত্তর: আমাদের দেশে প্রচলিত জমি বন্ধক বা কট নেওয়ার পদ্ধতি জায়েয নয়। বরং তা সুস্পষ্ট সূদ। কেননা শরীআতে ‘বন্ধক’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে ঋণদাতার সম্পদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে; মুনাফা অর্জনের জন্য নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَإِنْ كُنْتُمْ عَلَى سَفَرٍ وَلَمْ تَجِدُوا ‌كَاتِبًا فَرِهَانٌ مَقْبُوضَةٌ ‘যদি তোমরা সফরে থাক আর লিখে রাখার মতো কোনো লেখক না পাও, তাহলে (নিরাপত্তাস্বরূপ) বন্ধক রাখো...’ (আল-বাকারা, ২/২৮৩)। এই আয়াত থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় যে, বন্ধকটা কেবল নিরাপত্তার স্বার্থে, মুনাফা অর্জনের জন্য নয়। তথা কোনো ব্যক্তি বলবে আমাকে এত টাকা কর্য দাও আর যামানত স্বরূপ এই জিনিস তোমার কাছে থাকল। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে ঋণদাতা বাড়তি মুনাফা ভোগ করে থাকে। তথা বন্ধক দেওয়া জমি কর্যদাতা ভোগ করে থাকে। অথচ রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‌كُلُّ ‌قَرْضٍ ‌جَرَّ مَنْفَعَةً، فَهُوَ رِبًا ‘যে ঋণ মুনাফা বয়ে আনে, সেটাই এক প্রকার সূদ’ (বায়হাক্বী, সুনানে কুবরা, ১১/২৯৪/১১০৩৭, সমর্থক হাদীছ থাকার কারণে হাসান হাদীছ)।

প্রশ্নকারী : আমিনুর রহমান

দুপচাঁচিয়া, বগুড়া।


Magazine