কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

কুরআনের আলোকে হাদীছের অপরিহার্যতা (পর্ব-৭)

post title will place here

 (জানুয়ারি’২৪ সংখ্যায় প্রকাশিতের পর)

(৬) মহান আল্লাহ বলেন,يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা ছালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডলকে আর তোমাদের হাতকে কনুই পর্যন্ত ধৌত করে নাও। আর তোমাদের মাথা মাসাহ করো এবং তোমাদের পা ধৌত করো টাখনু পর্যন্ত’ (আল-মায়েদা, ৫/৬)

উপরিউক্ত আয়াতে ব্যবহৃত ‘ইলা’ (إِلَى) অব্যয়টি আরবীতে ‘পর্যন্ত’ অর্থ প্রদান করে থাকে এবং ‘সহ’ অর্থও প্রদান করে থাকে। অতএব, দুই ধরনের অর্থ করা সম্ভব তথা কনুই পর্যন্ত ধৌত করতে হবে অথবা কনুইসহ ধৌত করতে হবে। কনুই পর্যন্ত হলে হাত ধৌত করার সময় কনুই অন্তর্ভুক্ত হবে না। কনুই স্পর্শ করার আগেই হাত ধোয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। আর কনুইসহ অর্থ করলে হাত ধোয়ার সময় কনুই পার হয়ে পুরো কনুইসহ হাত ধৌত করতে হবে। উভয় অর্থই আরবী ভাষা অনুযায়ী বিশুদ্ধ।

উপরিউক্ত আয়াতে আরবী ভাষার সাথে সম্পৃক্ত আরো একটি মাসআলা রয়েছে। আয়াতে মহান আল্লাহ ছালাতে দাঁড়ানোর জন্য ওযূ করার আদেশ প্রদানের বাক্য শুরু করেছেন মুখমণ্ডল ধৌত করার মাধ্যমে। সেখানে আরবী বর্ণ ‘ফা’ ব্যবহার করা হয়েছে। উক্ত ‘ফা’ বর্ণটি যদি ‘তা‘ক্বীব’ বা ‘তারতীব’ তথা ধারাবাহিকতা বর্ণনার জন্য হয়ে থাকে, তাহলে আয়াতে বর্ণিত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরী হয়ে যাবে। তথা সেক্ষেত্রে ওযূ শুরু করতে হবে মুখমণ্ডল ধৌত করার মাধ্যমে এবং পবিত্র কুরআনের এই আয়াতে যে ধারাবাহিকতা বলা হয়েছে, সেভাবেই ওযূ করতে হবে। অন্যদিকে একদল মন্তব্য করেছেন, এই আয়াতটি ‘ফা তা‘ক্বীব’ দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে সবগুলোর ক্ষেত্রে ‘ওয়াও আতফ’ তথা সংযোজনজ্ঞাপক ওয়াও ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ওয়াও আতফ’ ধারাবাহিকতা বুঝায় না; বরং শুধু সংযোজন বুঝায়। সেক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরী নয়। তথা কেউ চাইলে পা ধৌত করার মাধ্যমেও ওযূ শুরু করতে পারে।

উক্ত আয়াতে আরবী ভাষা সংক্রান্ত আরো একটি মাসআলা রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ‘তোমাদের মাথা মাসাহ করো এবং পা টাখনু পর্যন্ত’ (আল-মায়েদা, ৫/৬)। এই অংশে মাথা মাসাহ করার উপর আতফ তথা সংযুক্ত করা হয়েছে পা-কে। ফলত, পা মাসাহ করতে হবে নাকি ধৌত করতে হবে তা নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আরজুল বা পা শব্দের ইবারত নির্ধারণ করবে যে, আয়াতটির অর্থ কী দাঁড়াবে? যদি আরজুলা পড়া হয় তথা লামে যবর দিয়ে পড়া হয়, তাহলে পা আতফ হবে মুখমণ্ডলের উপর। আর মুখমণ্ডল ধৌত করার কথা বলা হয়েছে, তাই সেক্ষেত্রে পাও ধৌত করতে হবে। আর যদি পড়া হয় আরজুলি তথা লামে যের দেওয়া হয়, তাহলে বাক্যাংশটি আতফ হবে রুঊস বা মাথার উপর। আর মাথা মাসাহ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অতএব, পা-ও মাসাহ করতে হবে। আরবী ব্যকরণগত এই মতভেদের সমাধান রয়েছে।

অতএব, উল্লিখিত আয়াত থেকে একটি বিষয় দিনের আলোর ন্যায় স্পষ্ট যে, আরবী ভাষাগত বিভিন্ন মতভেদের কারণে শারঈ আহকামে ব্যাপক মতভেদ তৈরি হতে পারে। সুতরাং হাদীছ ব্যতীত শুধু নিজের বিবেক বা ভাষাকে কাজে লাগিয়ে কুরআনের সঠিক অনুবাদ দাঁড় করানো কখনোই সম্ভব নয়। কুরআন পরিপূর্ণ বুঝা কখনোই সম্ভব নয়। বরং যার উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তাঁর ব্যাখ্যা ও বুঝই কুরআন বুঝার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম। আর সেই ব্যাখ্যা বা বুঝ জানার একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছ। যেমন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, وَيْلٌ لِلأَعْقَابِ مِنْ النَّارِ ‘যারা পায়ের কিছু অংশ ধৌত করতে অবশিষ্ট রাখবে, তাদের সেই অবশিষ্ট অংশ জাহান্নামে’।[1] এই হাদীছ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, পা ধৌত না করা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হতে পারে। বরং পা ধৌত করার ক্ষেত্রে চরম সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। অনুরূপ বহু হাদীছে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং ছাহাবীদেরকে ওযূ করে দেখিয়েছেন এবং সেখানে তিনি কনুইসহ ধৌত করেছেন, যা উক্ত আয়াতের অর্থকে পরিপূর্ণরূপে স্পষ্ট করে।

(৭) মহান আল্লাহ বলেন, ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ‘আর তোমরা ছিয়াম পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত’ (আল-বাক্বারা, ২/১৮৭)

উপরিউক্ত আয়াতে ‘ইলা’ (إِلَى) দ্বারা যদি অর্থ করা হয় রাতসহ, তাহলে সূর্যাস্তের পরেও ছিয়াম থাকা যাবে। আর যদি ইলা দ্বারা পর্যন্ত অর্থ করা হয়, তাহলে রাত শুরু হতেই ছিয়াম শেষ করতে হবে। আরবী ভাষা অনুযায়ী দুই ধরনের অর্থ করারই সুযোগ রয়েছে। কিন্তু রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে হাদীছের মাধ্যমে এই আয়াতের অর্থ করে দিয়েছেন যে, রাত পর্যন্ত ছিয়াম রাখতে হবে তথা সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে। যেমন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,لا يزالُ النَّاسُ بِخَيرٍ ما عَجَّلوا الفِطْرَ ‘মানুষ ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যতদিন মানুষ দ্রুত ইফতার করবে’।[2]

(৮) মহান আল্লাহ বলেন, فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا ‘আর তোমরা পবিত্র ‘ছাঈদ’ দিয়ে তায়াম্মুম করো’ (আল-মায়েদা, ৫/৬)

আরবী ভাষায় ‘ছাঈদ’ শব্দটি শুধু মাটির জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং মাটির উপর যা কিছু আছে, তার জন্যও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কারো মতে শুধু মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে, অন্য কিছু দিয়ে নয়। আর কারো মতে ইট-পাথর ও বালু দিয়েও তায়াম্মুম করা যাবে।

(৯) মহান আল্লাহ বলেন, لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ ‘আর পবিত্র ছাড়া কেউ তা স্পর্শ করে না’ (আল-ওয়াক্বি‘আহ, ৫৬/৭৯)

উক্ত আয়াতে মুতাহহারূন দ্বারা ফেরেশতা অথবা মানুষ উভয়ই উদ্দেশ্য হতে পারে। মানুষ উদ্দেশ্য হলে মানুষের জন্য পবিত্র হয়ে কুরআন স্পর্শ করতে হবে। তখন জুমলা খাবারিয়্যা হলেও উদ্দেশ্য হবে ইনশা। তথা সংবাদ দেওয়ার মাধ্যমে আদেশ প্রদান উদ্দেশ্য। তখন আয়াতটির অনুবাদ দাঁড়াবে মানুষ যেন পবিত্র হয়েই কুরআন স্পর্শ করে। আর ফেরেশতা উদ্দেশ্য হলে ফেরেশতারা কখনোই অপবিত্র হয় না। সে অবস্থায় মানুষের জন্য পবিত্র হয়ে কুরআন স্পর্শ করার আদেশ প্রমাণিত হবে না।

(১০) মহান আল্লাহ বলেন, وَامْرَأَتُهُ قَائِمَةٌ فَضَحِكَتْ ‘আর তার স্ত্রী সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল এবং সে হেসে উঠল’ (হূদ, ১১/৭১)

উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর স্ত্রীর বর্ণনা দিয়েছেন। যখন মহান আল্লাহর প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-কে জানালেন যে, তারা মূলত লূত আলাইহিস সালাম-এর ক্বওমকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছে, তখন সারা (আলাইহাস সালাম) এই কথাগুলো পাশে আড়ালে দাঁড়িয়ে থেকে শুনছিলেন আর ফেরেশতাগণ তাকে তার সন্তান ইসহাক্ব এবং পৌত্র ইয়াকূবের বিষয়ে সুসংবাদ প্রদান করেন। এই বর্ণনা দিতে গিয়ে এখানে আরবী ‘যহিকাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আর আরবীতে হেসে উঠার জন্য এবং হায়েয হওয়ার জন্য উভয় অর্থে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুতরাং ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর স্ত্রী সুসংবাদ শুনে হেসে উঠলেন অথবা সন্তান সম্ভবা হবেন এই জন্য হায়েযা হলেন।

(১১) মহান আল্লাহ বলেন,وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ ‘আর তালাকপ্রাপ্তারা স্বেচ্ছায় তিন কুরূ ইদ্দত পালন করবে’ (আল-বাক্বারা, ২/২২৮)

উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ একজন তালাকপ্রাপ্তা নারীর ইদ্দতের বর্ণনা দিয়েছেন। একজন তালাকপ্রাপ্তা নারী তার ইদ্দত পূর্ণ করার জন্য তিন কুরূ অপেক্ষা করবেন। অতঃপর সে চাইলে অন্য কোথাও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। আয়াতে উল্লিখিত কুরূ শব্দটি আরবী ভাষায় হায়েয তথা ঋতুস্রাব এবং তুহূর তথা পবিত্র অবস্থা উভয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ভাষাগত এই মতভেদের কারণে ফক্বীহদের মধ্যেও মতভেদ তৈরি হয়েছে। তাদের কারো মতে তালাকপ্রাপ্তা নারীর ইদ্দত হচ্ছে তিন ঋতুস্রাব আর কারো মতে তালাকপ্রাপ্তা নারীর ইদ্দত হচ্ছে তিন পবিত্র অবস্থা। এই ধরনের মতভেদপূর্ণ বিষয়গুলোতে হাদীছই একমাত্র সমাধান দিতে পারে।

(১২) মহান আল্লাহ বলেন, يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ ‘সেদিন প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামের নামে ডাকা হবে। (আল-ইসরা, ১৭/৭১)

কিয়ামতের মাঠে মানুষকে কীভাবে ডাকা হবে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এই আয়াতে। এই আয়াতে ইমাম শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আরবী ভাষায় উম্মুন অর্থ হচ্ছে মা। আর এই উম্মুন শব্দটির বহুবচন হচ্ছে ইমাম।[3] সেক্ষেত্রে আয়াতটির অনুবাদ দাঁড়াবে প্রত্যেক মানুষকে তাদের মায়ের নামে ডাকা হবে। আর ইমাম শব্দটি দ্বারা যদি নেতা উদ্দেশ্য নেওয়া হয়, তাহলে অর্থ দাঁড়াবে প্রত্যেক মানুষ যে মতাদর্শ অনুসরণ করত বা যে দল-মত পোষণ করত তার নেতার নাম ধরে তাকে ডাকা হবে। এই ধরনের বিতর্কিত বিষয়গুলোতে হাদীছই একমাত্র সমাধান দিতে পারে।

(১৩) মহান আল্লাহ বলেন, وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا ‘আর মহান আল্লাহ মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে কথা বললেন’ (আন-নিসা, ৪/১৬৪)

আরবী ভাষায় কাল্লামা শব্দটি কথা বলা ও আঘাত করা উভয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অনেকেই মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে মহান আল্লাহর কথোপকথনকে অস্বীকার করেছেন। তারা উক্ত আয়াতে কাল্লামা শব্দটি দ্বারা আঘাত করা অর্থ গ্রহণ করেছেন।

(১৪) মহান আল্লাহ বলেন, لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে স্পর্শ কর’ (আল-মায়েদা, ৫/৬)

উপরিউক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ কখন কখন তায়াম্মুম করা সম্ভব তার বর্ণনা দিতে গিয়ে কী কারণে ওযূ ভেঙ্গে যেতে পারে তার একটি উদাহরণ পেশ করেছেন। আর তা হচ্ছে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা। এই বিষয়টি বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ ‘লামাসা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আর আরবী ভাষায় ‘লামাসা’ শব্দটি স্পর্শ করা এবং সহবাস করা উভয় অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যদি আমরা স্পর্শ করা অর্থ গ্রহণ করি, তাহলে স্ত্রীকে স্পর্শ করলেই ওযূ ভেঙ্গে যাবে। অনেক ফক্বীহ এই মর্মে ফতওয়াও প্রদান করেছেন। তাদের দলীল এই আয়াত। অন্যদিকে আমরা যদি সহবাস করা অর্থ গ্রহণ করি, তাহলে সহবাস করলে ওযূ ভেঙ্গে যাবে। অধিকাংশ ফক্বীহ এই বিষয়ে মত প্রদান করেছেন। এই ধরনের বিতর্কিত বিষয়গুলোতে হাদীছই একমাত্র সমাধান দিতে পারে।

উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, শুধু ভাষার মাধ্যমে শাব্দিক অর্থ গ্রহণ কখনোই আমাদেরকে সঠিক অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করতে সহযোগিতা করতে পারবে না। কেননা একই শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পাশাপাশি কুরআন মাজীদের বিভিন্ন ক্বিরাআত রয়েছে। ক্বিরাআতে ইবারত পরিবর্তন হয়, অর্থও পরিবর্তন হয়। অতএব, কুরআন সঠিকভাবে বুঝার জন্য রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কীভাবে কুরআনকে ব্যাখ্যা করেছেন এবং ছাহাবীগণ কীভাবে কুরআনকে বুঝেছেন তা জানা ও বুঝার বিকল্প নেই।

(ইনশা-আল্লাহচলবে)

* ফাযেল, দারুল উলূম দেওবান্দ, ভারত; বি. এ (অনার্স), মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব; এমএসসি, ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ইউনিভার্সিটি অফ ডান্ডি, যুক্তরাজ্য।


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৬০।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯৭৫।

[3]. ফাতহুল ক্বাদীর, ৩/২৯২।

Magazine