উত্তর: কোনো ব্যক্তি যদি বিশেষ কিছু উল্লেখ না করে সাধারণভাবে দু‘আ চায় তাহলে তার জন্য যেকোনো দু‘আ করা যেতে পারে যেগুলো দ্বারা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আ করেছেন। যেমন: রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু এর জন্য দু‘আ করেছিলেন। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার মা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আনাস আপনারই খাদিম। আপনি তার জন্য দু‘আ করুন। তিনি দু‘আ করলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধি করে দিন। আর তাকে আপনি যা কিছু দিয়েছেন তাতে বরকত দিন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩৭৮)। আরেক বর্ণনায় এসেছে, অতঃপর তাঁর নিকটে সুপেয় পানি আনা হলে তিনি তা পান করেন। পরে তিনি তাঁর ডান পাশের লোককে দিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতঃপর আমার আব্বা তার সওয়ারীর লাগাম ধরে বললেন, আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন। তখন তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ! তুমি তাঁদের রিযিকে বরকত দাও, তাঁদের ক্ষমা করো এবং তাঁদের প্রতি দয়া করো’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২০৪২)। ‘ফী আমানিল্লাহ’ অর্থ হলো ‘আপনাকে আল্লাহর নিরাপত্তায় সোপর্দ করছি’। দু‘আর ক্ষেত্রে এটির বলার ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। সুতরাং রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা দিয়ে দু‘আ করেছেন সেগুলোর মাধ্যমেই দু‘আ করা উচিত।
প্রশ্নকারী : আজমাল হোসেন
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।