কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১১): অনেক মসজিদে জুমআর খুৎবা চলাকালীন সময়ে মুছল্লীরা ঘুমায়। সেক্ষেত্রে করণীয় কী?

উত্তর: জুমআর খুৎবা চলাকালীন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুমানো বৈধ নয়। কেননা খুৎবা চলাকালীন সময়ে চুপ করে বসে খুৎবা শ্রবণ করা ওয়াজিব। সুতরাং ওয়াজিব কাজ পরিত্যাগ করে ইচ্ছাকৃত ঘুমানো শরীআত নিষিদ্ধ কাজ। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো উপর যদি ঘুম প্রাধান্য বিস্তার করে, সেক্ষেত্রে যথাসাধ্য তা প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুম সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘মসজিদের মধ্যে তোমাদের কারো তন্দ্রা এলে সে যেন তার স্থান পরিবর্তন করে অন্যত্র বসে’ (আবূ দাঊদ, হা/১১১৯)। তারপরও যদি প্রতিহত করতে সক্ষম না হয়, তবে সেক্ষেত্রে সে পাপিষ্ট হবে না। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন করো’ (আত-তাগাবুন, ৬৪/১৬)। আর যদি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়, তবে জুমআর ছালাত আদায়ের জন্য পুনরায় ওযূ করবে। কেননা গভীর ঘুম ওযূ ভঙ্গের কারণ (ইবনু মাজাহ, হা/৪৭৭)। জুমআর খুৎবা চলাকালীন সময়ে পাশের কেউ ঘুমালে করণীয় হচ্ছে, কথা না বলে হাত বা কোনো কিছু দিয়ে ইশারা করে তাকে জাগিয়ে দেওয়া। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমআর দিন যখন তোমার পাশের মুছল্লীকে চুপ থাক বলবে, অথচ ইমাম খুৎবা দিচ্ছেন, তাহলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৯৩৪)। সুতরাং কথা বলার মাধ্যমে জাগ্রত করা যাবে না, বরং কোনো ইশারা বা ইঙ্গিতের মাধ্যমে জাগ্রত করতে হবে।

প্রশ্নকারী : আব্দুর রঊফ

জয়পুরহাট।


Magazine