উত্তর: এমতাবস্থায় ঘুষ না দিয়ে আইনের সহায়তা নিয়ে দেরিতে হলেও বৈধ পন্থায় টাকা উত্তোলন করতে হবে। কেননা ঘুষ আদানপ্রদান ইসলামে বৈধ নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতাকে অভিসম্পাত করেছেন (আবূ দাঊদ, হা/৩৫৮০)। অন্য বর্ণনায় রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত’ (ইবনে মাজাহ, হা/২৩১৩)। ঘুষগ্রহীতার ব্যাপারে হাদীছে এসেছে, খাওয়ালাহ আনছারী রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই কিছু লোক আল্লাহর সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে। ক্বিয়ামতের দিন তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩১১৮)। তবে যদি ঘুষ দেওয়া ছাড়া টাকা তোলা একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে নিরুপায় হয়ে টাকা দেওয়া যায়।
প্রশ্নকারী : মো. মোনাব্বেরুল হক্ব
জলঢাকা, নীলফামারী।