কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৪): আমি যখন বিয়ে করি, তখন আমার বিয়েতে দেনমোহর ধরা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অথচ তখন আমার পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না। বিয়ে হয়েছে গত পাঁচ বছর হলো এখনো সামর্থ্য হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমার স্ত্রীকে মোহর হিসেবে ৫০ হাজার কিংবা এক লাখ টাকার গহনা বানিয়ে দিলে সে যদি সন্তুষ্ট থাকে; তাহলে কি শরীআত অনুযায়ী মোহর আদায় হবে?

উত্তর: মোহর পাত্রের অবস্থা বিবেচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। কম মোহরেই বরকত রয়েছে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সর্বোত্তম মোহর হলো যা সহজতর’ (সুনানে কুবরা, বায়হাক্বী, হা/১৪৩৩২)। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে মোহরের অর্থ দিয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো’ (আন-নিসা, ৪/২৪)। তবে মোহর নির্ধারণ হওয়ার পরও স্ত্রী স্বামীকে স্বেচ্ছায় ছাড় দিতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মোহর নির্ধারণের পর কোনো বিষয়ে পরস্পর রাজি হলে তাতে তোমাদের কোনো দোষ হবে না’ (আন-নিসা, ৪/২৪)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর সন্তুষ্ট মনে দিয়ে দাও, পরে তারা খুশি মনে তার (মোহরের) কিয়দংশ ছেড়ে দিলে, তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো’ (আন-নিসা, ৪/৪)। সুতরাং স্ত্রী সন্তুষ্টচিত্তে অর্ধলক্ষ বা এক লাখ টাকা গ্রহণ করলে তাতে মোহর আদায় হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে অধিক পরিমাণ মোহরানা ধার্য করা এবং পরে স্ত্রীর কাছে মাফ চাওয়া ধোঁকার শামিল।

প্রশ্নকারী : নাজমুল

গাইবান্ধা।

Magazine