اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ وَحْدَهُ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى مَنْ لَّا نَبِيَّ بَعْدَهُ
‘জিহাদ’ (جِهَادٌ) অর্থ প্রাণান্ত চেষ্টা করা। শরীআতের দৃষ্টিতে এর অর্থ দুইভাবে হয়ে থাকে: (১) ‘আম’ (عَامٌّ) বা ব্যাপক: এ অর্থে ইসলামের বিধিবিধান অনুযায়ী আমল করা, এদিকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া, ইসলাম রক্ষার চেষ্টা করা, সম্ভবপর সব পথ অবলম্বন করে ইসলামকে শক্তিশালী করা ইত্যাদিকে জিহাদ বলে। (২) ‘খাছ’ (خَاصٌّ) বা বিশেষ: এ অর্থে কাফেরগোষ্ঠীর সাথে লড়াই-সংগ্রামকে জিহাদ বলে। জিহাদের উভয় অর্থই বিশুদ্ধ (দ্র. হাজ্জ, ৭-৮; আনকাবূত, ৬; আনফাল, ৩৯; বুখারী, হা/৩০০৪; মুসলিম, হা/২৫৪৯)। প্রথম অর্থে জিহাদ কয়েক প্রকার হয়ে থাকে: (১) ব্যক্তির নিজের নাফসের বিরুদ্ধে জিহাদ (দ্র. হাজ্জ, ৭-৮; আনকাবূত, ৬)। (২) শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদ। (৩) যালেম, বিদআতী, ভ্রান্ত ফেরক্বা ও অপকর্মকারীর বিরুদ্ধে জিহাদ। (৪) কাফেরের বিরুদ্ধে জিহাদ এবং (৫) মুনাফিক ও মুরতাদদের বিরুদ্ধে জিহাদ। দ্বিতীয় অর্থে জিহাদ দুই প্রকার: (১) আক্রমণাত্মক (Offensive/جِهَادُ الطَّلَبِ) জিহাদ ও (২) রক্ষণাত্মক/আত্মরক্ষামূলক (Defensive/جِهَادُ الدَّفْعِ) জিহাদ। জিহাদের এসবগুলো প্রকারই ইসলামে বলবৎ রয়েছে। কেউ কেউ বলতে চান, ইসলামে জিহাদ শুধু আত্মরক্ষামূলক; কিন্তু তাদের একথা মোটেও ঠিক নয় (দ্র. ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৮/১৩৮)।
ইসলামে জিহাদের গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। জিহাদ ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়ার নাম (তিরমিযী, হা/২৬১৬, ছহীহ)। জিহাদ সর্বোৎকৃষ্ট আমল (বুখারী, হা/১৫২০)। একে পবিত্র কুরআনে জাহান্নাম থেকে মুক্তকারী ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে (ছফ, ১০-১৩)। মহান আল্লাহ মুজাহিদদের মর্যাদা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাদের জন্য বিশেষ ক্ষমা ও দয়ার ঘোষণা দিয়েছেন (নিসা, ৮৫-৫৬)। তিনি তাদের জন্য জান্নাতে ১০০টি মর্যাদার স্তর প্রস্তুত রেখেছেন, যার এক একটির ব্যবধান আসমান ও যমীনের দূরত্বের ন্যায় (বুখারী, হা/২৭৯০)। শহীদের রক্তের প্রথম ক্ষরণের সাথে সাথে তার পাপ ক্ষমা করা হয়, জান্নাতে তার বাসস্থান দেখানো হয়, কবরের আযাব থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়…(ইবনু মাজাহ, হা/২৭৯৯)। আল্লাহর রাস্তায় আহত ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তাজা রক্ত নিয়ে আসবে, যার বর্ণ হবে লাল, কিন্তু সুগন্ধি হবে মিসকে আম্বরের (বুখারী, হা/২৮০৩)। শহীদের রূহ সবুজ পাখির পেটে রক্ষিত থেকে জান্নাতের সর্বত্র ঘুরে বেড়ায় (মুসলিম, হা/১৮৮৭)। জিহাদ এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, অন্যান্য নবী ও তাদের উম্মতের উপরও তা বিধিবদ্ধ ছিল (মায়েদা, ২০-২৬; আলে ইমরান, ১৪৬-১৪৭; নামল, ৩৬-৩৭)। জিহাদ এমন ইবাদত, যার তামান্না প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে অবশ্যই থাকতে হবে, অন্যথা এক প্রকার মুনাফিক্বী নিয়ে মরতে হবে (মুসলিম, হা/১৯১০)। এগুলো জিহাদের গুরুত্ব ও মর্যাদার নমুনামাত্র। উল্লেখ্য, ইসলামে জিহাদ মূল লক্ষ্য নয়; বরং তা আল্লাহর কালিমা প্রতিষ্ঠা ও বুলন্দ করার মাধ্যম মাত্র (তওবা, ১৪-১৬)।
উপর্যুক্ত ব্যাপক অর্থে জিহাদ ফরযে আইন। কারণ একজন মুমিনকে প্রতিনিয়ত নিজের নাফস, শয়তান, যালেম, বিদআতী, ভ্রান্ত ফেরক্বা ও অপকর্মকারীর বিরুদ্ধে, কাফের এবং মুনাফিক ও মুরতাদদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে জিহাদ করে যেতে হচ্ছে। কিন্তু বিশেষ অর্থে অর্থাৎ কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের হুকুম হচ্ছে, তা ফরযে কিফায়াহ (فَرْضُ كِفَايَةٍ); যে সংখ্যক মুজাহিদ অংশগ্রহণ করলে যথেষ্ট হবে, তারা জিহাদে গেলে হয়ে যাবে এবং বাকীদের আর গোনাহ হবে না। আর এটা সাধারণত আক্রমণাত্মক জিহাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তবে ৪টি অবস্থায় জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায়, যাতে অংশগ্রহণ করা সক্ষম প্রত্যেকটি মুসলিমের উপর ফরয: (ক) জিহাদে অংশগ্রহণ করে সক্ষমতা থাকা অবস্থায় সেখান থেকে পিছুটান দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই (আনফাল, ১৫-১৬)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধের ময়দান থেকে পালানোকে কাবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করেছেন (বুখারী, হা/২৭৬৬; মুসলিম, হা/৮৯)। সুতরাং যে জিহাদের ময়দানে চলে গেছে, তার উপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে গেছে। (খ) শত্রু কর্তৃক যখন কোনো এলাকা ঘেরাও করা হবে, তখন সেই জনপদ রক্ষা করতে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তির উপর জিহাদ করা ফরযে আইন হয়ে যাবে। এই ফরযে আইন সকল মুসলিমের জন্য নয়; বরং ঐ এলাকার ও আশপাশের মুসলিমদের জন্য। আর এটার আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় থাকবে সরকার। এটাকে রক্ষণাত্মক/আত্মরক্ষামূলক জিহাদ বলে। (গ) সরকার নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে জিহাদের আদেশ করলে তার উপর জিহাদ করা ফরযে আইন হয়ে যায় (তওবা, ৩৮; বুখারী, হা/১৮৩৪; মুসলিম, হা/১৩৫৩)(ঘ) যখন জিহাদে কোনো ব্যক্তির প্রয়োজন পড়বে, যাকে ছাড়া সেই প্রয়োজন পূরণ করা সম্ভব নয়, তখন তার উপর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যাবে [দ্র. আশ-শারহুল মুমতে‘, ৮/৭-১২; ফাওযান, আল-জিহাদ: আল-মুলাখখাছুল ফিক্বহী, ১/৪৬১]।
জিহাদের গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি ও শর্ত হচ্ছে, (১) জিহাদের আগে অবশ্যই দাওয়াত দিতে হবে। দাওয়াত না দিয়ে প্রথমেই জিহাদে লিপ্ত হওয়া যাবে না। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন, বিভিন্ন রাজা-বাদশা ও নেতৃস্থানীয়দের ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি পাঠাতেন; তিনি আগে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদে যেতেন না। (২) অবশ্যই জিহাদ মুসলিম সরকারের অধীনে পরিচালিত হতে হবে (বুখারী, হা/২৯৫৭; মুসলিম, হা/১৮৪১)। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই সেনাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। আবার কখনও কাউকে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে পাঠাতেন। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশনার বাইরে ছাহাবীগণ কখনও যুদ্ধে জড়াননি। তাঁর ৪ খলীফার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। ইমাম ত্বহাবী আলাইহিস সালাম বলেন, ‘মুসলিম শাসক নেককার হোক বা বদকার হোক হজ্জ ও জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত তাদের অধীনেই পরিচালিত হবে’ (আক্বীদাহ ত্বহাবিয়্যাহ, পৃ. ৭১)।
(৩) জিহাদে অংশগ্রহণকারী মুসলিমদের অবশ্যই পূর্ণ শক্তি-সামর্থ্য থাকতে হবে। একারণেই নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর ছাহাবীবর্গ হিজরতের পূর্বে মক্কায় জিহাদ করেননি, অথচ তখন তাঁদের উপর কত অত্যাচার-নিপীড়ন চালানো হয়েছে! বরং মহান আল্লাহ উল্টো তাঁর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ক্ষমা করে দিতে বলেছেন (হিজর, ৮৫-৮৬; যুখরুফ, ৮৯; মায়েদা, ১৩; বুখারী, হা/৬২০৭)। কারণ শক্তি ছাড়া যুদ্ধে নামলে উল্টো পরাজয় ও ক্ষতি নেমে আসবে। তবে শক্তি-সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা চালাতে হবে (আনফাল, ৬০)। (৪) কোন শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদে নামা যাবে আর কার বিরুদ্ধে যাবে না- সে বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। ক- যে কাফের আল্লাহর রাস্তায় প্রতিবন্ধক হয়, মানুষকে ইসলামে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে, যমীনে কুফরী ছড়িয়ে বেড়ায় ও মুসলিমদের সাথে লড়াই করে, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে। কিন্তু যারা মুসলিমদের সাথে লড়াই করে না, তাদের আক্বীদা প্রচার করে না, বরং তাদের কুফর তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদে নামা যাবে না (মুমতাহিনাহ, ৮)। খ- ‘মুআহাদ’ (مُعَاهَدٌ) বা নিজের এলাকায় বসবাসরত কিন্তু মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোনো কাফেরের সাথে লড়াই করা চলবে না (নাহল, ৯১, বুখারী, হা/৩১৬৬)। এমনকি কোনো মুসলিম কোনো চুক্তিবদ্ধ কাফেরকে ভুলক্রমে হত্যা করে ফেললে কাফফারা ও দিয়াত দিতে হবে (নিসা, ৯২)। গ- সরকার বা জনগণের আশ্রিত (مُسْتَأْمِنٌ) কোনো কাফেরকে হত্যা করা যাবে না (তাওবাহ, ৬)। ঘ- জিযিয়া প্রদানের শর্তে মুসলিম জনপদে বসবাসকারী মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ (ذِمِّيٌّ) কোনো কাফেরকে হত্যা করা যাবে না (তাওবাহ, ২৯)। ঙ- নারী ও শিশুকে হত্যা করা যাবে না (বুখারী, হা/৩০১৪; মুসলিম, হা/১৭৪৪)। এসব বিধিনিষেধ মেনেই জিহাদ করতে হবে (দ্র. ফাওযান, আল-জিহাদ: যওয়াবিতুহূ ওয়া আহকামুহূ, পৃ. ১৫-১৮)। (৫) নফল জিহাদ হলে অবশ্যই পিতা-মাতার অনুমতি নিতে হবে (বুখারী, হা/৩০০৪, মুসলিম, হা/২৪৪৯, আহমাদ, হা/১১৭২১)। (৬) জিহাদ পরিত্যাগের ক্ষতির চেয়ে জিহাদ করার ক্ষতি অধিক হওয়া যাবে না (দ্র. আব্দুস সালাম সুহায়মী, আল-জিহাদ ফিল ইসলাম, পৃ. ৬৬)। তবে কারো উপর জিহাদ ফরয হওয়ার জন্য অবশ্যই তার মধ্যে এই শর্তগুলো থাকতে হবে: (ক) তাকে মুসলিম হতে হবে। (খ) বিবেক-বুদ্ধি থাকতে হবে। (গ) প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। (ঘ) স্বাধীন হতে হবে। (ঙ) পুরুষ হতে হবে। (চ) শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে এবং (ছ) জিহাদে খরচ করার মতো অর্থ থাকতে হবে (দ্র. ঐ)।
বুঝা গেলো, জিহাদ কস্মিনকালেও কারো প্রতি যুলম নয়। বরং ইসলামে জিহাদ অত্যন্ত পরিকল্পিত, সুশৃঙ্খলিত ও নিয়ন্ত্রিত একটি বিষয়, যার সাথে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। ইসলামে জিহাদের নির্দেশনা না মেনে কারো জান-মাল-ইযযতের উপর আক্রমণ করা কখনই সমর্থিত নয়। বরং তখন তা জিহাদ না হয়ে উল্টো উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদে পরিণত হয়। আর এর কারণে ইসলাম ও মুসলিমরা কলঙ্কিত হয় এবং পিছিয়ে যায়। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এবং অশান্তি, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জিহাদকে চরমপন্থা, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সাথে গলিয়ে ফেলা নেহায়েত অন্যায়; যে পথে হেঁটে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে সমগ্র কাফের-দুনিয়া। আর এপথে মদদ যোগাচ্ছে একশ্রেণির মুসলিম তরুণ-যুবক, যারা বুঝে না বুঝে কুরআন-হাদীছের কিছু বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে অতি আবেগী ও অতি উৎসাহী হচ্ছে আর বিভিন্ন মুসলিম সরকার, জনগণ ও সালাফী আলেমগণের ব্যাপারে নানা ফতওয়া জারি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে এবং হরেক রকম ট্যাগ লাগাচ্ছে। বরং আরো আগ বাড়িয়ে তারা চোরাগুপ্তা ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে অশান্তির দাবানল ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বময়।
মনে রাখতে হবে, যারা জিহাদ সংক্রান্ত উপর্যুক্ত নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না, তারা মূলত খারেজী বা চরমপন্থী। তারা মুসলিম রাষ্ট্রকে কাফের বা ত্বাগূত রাষ্ট্র মনে করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্যদান ও অস্ত্র ধারণের মাধ্যমে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে থাকে। কারণ তাদের আক্বীদা মতে, কাবীরা গুনাহগার কাফের। তাদের এ ধরনের আক্বীদা চরম ভ্রান্ত এবং তাদের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে শরীআত-নিষিদ্ধ। ইসলামের সঠিক আক্বীদা হচ্ছে, কাবীরা গুনাহগার ফাসেক্ব মুমিন হিসেবে গণ্য হয়। ফলে প্রকাশ্য কুফরীতে না জড়ানো পর্যন্ত মুসলিম শাসক মুসলিম হিসেবে গণ্য হবে এবং এমতাবস্থায় রাষ্ট্রের সকল বৈধ নিয়ম-ক্বানূন ও আদেশ-নিষেধ মেনে চলা প্রত্যেক মুমিনের আবশ্যক হবে। ভুল দেখতে পেলে সাধ্য অনুযায়ী সংশোধনের জন্য শারঈ পদ্ধতিতে নছীহত করতে হবে ও আন্তরিকভাবে দু‘আ করতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!