উত্তর : বদলী হজ্জ সম্পাদনকারী নিজের জন্য এমনকি সকল মুসলিমের জন্যও দু‘আ করতে পারবে। কেননা হজ্জের জন্য দু‘আর বিষয়টি ব্যাপক। সাফওয়ান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সিরিয়াতে এসে আবূ দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর বাড়িতে গেলাম। কিন্তু সেখানে আবূ দারদারাযিয়াল্লাহু আনহু-কে পেলাম না বরং পেলাম উম্মু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহা-কে। উম্মু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহা বললেন, আপনি কি এ বছর হজ্জ পালনের ইচ্ছা করেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ! তিনি বললেন, তাহলে আমাদের মঙ্গলের জন্য দু‘আ করবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির দু‘আ তার ভাইয়ের জন্য অবশ্যই কবুল করা হয়ে থাকে, যা তার অনুপস্থিতিতে করা হয়। তার মাথার পাশেই একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য দু‘আ করে তখনই নিযুক্ত ফেরেশতা বলে ‘আমীন’ এবং বলে তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ হোক (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৩৩)। তবে অন্যের পক্ষ থেকে হজ্জ-উমরা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, তার পক্ষে নিয়্যত করে বাহ্যিক ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাত কর্মসমূহ আদায় করা (আবূ দাঊদ, হা/১৮১১; মিশকাত, হা/২৫২৯)। বদলী হজ্জ সম্পাদনকারীও পূর্ণ হজ্জের নেকী পাবেন (ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়েমা, ১১/৭৮)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রাজ্জাক