উত্তর: হাজ্জ হলো ইসলামের একটি অন্যতম রুকন। যে ব্যক্তি হাজ্জ করার সমার্থ্য রাখে তার জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে হাজ্জ করা ফারয (আলে ইমরান, ৩/৯৭)। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। ১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. ছালাত কায়েম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. রমাযানের ছিয়াম পালন করা এবং ৫. হাজ্জ সম্পাদন করা (ছহীহ বুখারী, হা/৮, ছহীহ মুসলিম, হা/১৬)। হাজ্জের অনেক ফযীলত রয়েছে। রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক উমরাহ থেকে আরেক উমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী গুনাহের জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর জান্নাতই হলো কবুল হাজ্জের প্রতিদান (ছহীহ বুখারী, হা/১৭৭৩, ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৪৯)। রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, তোমরা হাজ্জ ও উমরাহ পরপর করতে থাকো। কেননা, হাপরের আগুন যেমনভাবে লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে, তেমনভাবে হাজ্জ ও উমরাহ দারিদ্র্য ও গুনাহকে দূর করে দেয়। আর জান্নাতই হলো কবুল হাজ্জের প্রতিদান (তিরমিযী, হা/৮১০, ইবনু খুযাইমাহ, হা/২৫১২)। রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হাজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত থাকলো, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হাজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তাকে তার মা জন্ম দিয়েছিল (ছহীহ বুখারী, হা/১৫২১, ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৫০)।
প্রশ্নকারী : ইদ্রিস আলী
টাঙ্গাইল।