কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৭): আমরা জানি যে যোগ-ব্যায়াম হিন্দুদের থেকে এসেছে। এই যোগ-ব্যায়ামের মধ্যে এক প্রকার আসন রয়েছে যেটাকে সূর্য নমস্কার বলা হয়। হিন্দুরা এর মাধ্যমে সূর্যের উপাসনা করে আর আমাদের দেশে সমস্ত সামরিক এবং আধা-সামরিক বাহিনীতে যোগ-ব্যায়াম করানো হয়; কিন্তু হিন্দুরা যখন এর মাধ্যমে সূর্যের উপাসনা করে, তখন কিছু কুফরী বাক্য বা মন্ত্র পাঠ করে। কিন্তু আমাদের চাকরির ক্ষেত্রে সেই মন্ত্রগুলো পাঠ করা হয় না। মেডিটেশন নামে কিছু কুফরী বাক্য পাঠ করা হয় আর মুসলিমরা এই চাকরিতে যুক্ত রয়েছে, তারা সেই কুফরী বাক্যগুলো কখনো পাঠ করে না; কিন্তু তাদের সেখানে অবস্থান করতে হয়। মুসলিমদের জন্য কি যোগ শুধুমাত্র শরীরচর্চার জন্য বাধ্য হয়ে করা যাবে নাকি মুসলিমরা এতে অংশগ্রহণ করলে মুশরিক হিসেবে গণ্য হবে?

উত্তর: যোগ-ব্যায়ামে বিজাতীয়দের সংস্কৃতির অনুসরণ করা হয়। কাজেই এই সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যায়াম থেকে দূরে থাকতে হবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে’ (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১)। তবে মুসলিমদের সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরী একটি কাজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে…’ (আল-আনফাল, ৮/৬০)। তাই এ গুরুত্বপূর্ণ কাজটি শরীআতের সীমা ঠিক রেখে তাদের সাদৃশ্য অবলম্বন না করে শিক্ষাগ্রহণ করা যাবে, এতে কোনো বাধা-নিষেধ নেই। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বদর যুদ্ধে কিছু বন্দি ফিদইয়া দিতে পারল না। ফলে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ফিদইয়া নির্ধারণ করলেন যে, তারা আনছারদের সন্তানদের হাতের লিখা শিক্ষা দিবে… (মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৬; জামেউল মাসানীদ, হা/৩০৯৫)।
প্রশ্নকার : আসিফ
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।


Magazine