উত্তর: ছালাতের ব্যাপারে উক্ত কথা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। সকল কাজের আগে ছালাতকে প্রধান্য দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়েই ছালাত আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। এজন্য এশার পর অনর্থক গল্প-গুজব করা জায়েয নয়। তাই ফজরের ছালাতে সমস্যা হলে ইশার ছালাত পড়ে দ্রূত ঘুমিয়ে যেতে হবে। আবূ বারযা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথা-বার্তা বলা অপছন্দ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৯৬)। আর স্কুলে গিয়ে পরিবেশ নেই বলে ছালাত ক্বাযা করা জায়েয হবে না। বরং দায়িত্বশীল শিক্ষকদের বলে ছালাতের সময় ও পরিবেশ সৃষ্টি করে মসজিদে ছালাত আদায় করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে ছালাত কায়েম করা মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য’ (আন-নিসা, ৪/১০৩)। আর ছালাত বাদ দিয়ে বা ছালাতকে তুচ্ছ মনে করে অন্য ইবাদত করে কোনো লাভ হবে না। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ক্বিয়ামতের মাঠে বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেয়া হবে ছালাতের। ছালাতের হিসাব শুদ্ধ হলে তার সমস্ত আমলই শুদ্ধ হবে। আর ছালাতের হিসাব ঠিক না হলে, তার সমস্ত আমল বরবাদ হবে’ (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, হা/১৮৫৯, সিলসিলা ছহীহা, হা/১৩৫৮)। সুতরাং নিয়মিতভাবে ফজরের ছালাত ক্বাযা করার এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। আর ওয়াক্তমত ফজরের ছালাত আদায়ের জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এরপরও কোন কারণবশত কোনদিন ঘুম থেকে উঠতে না পারলে যখন জাগ্রত হবে, তখনই আদায় করে নিবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, مَنْ نَسِيَ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهُ أَنْ يُّصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا ‘যদি কেউ কোন ছালাত আদায় করতে ভুলে যায় অথবা আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে তার কাফফারা হলো, যখনই স্মরণ হবে, তখনই আদায় করে নিবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৮৪; মিশকাত, হা/৬০৩)। উল্লেখ্য যে, ইশার পর অনর্থক গল্প-গুজব করা জায়েয নয়। তাই ফজরের ছালাতে সমস্যা হলে ইশার ছালাত পড়ে দ্রূত ঘুমিয়ে যেতে হবে। আবূ বারযা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথা-বার্তা বলা অপছন্দ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৯৬)।
প্রশ্নকারী : আক্বীমুল ইসলাম
জোতপাড়া, ঠাকুরগাঁও।