উত্তর : একজন ব্যক্তি জীবনে একাধিকবার উমরা করতে পারে যা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী থেকে বুঝা যায়। কিন্তু তার সংখ্যা নির্দিষ্ট নাই। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘এক উমরা থেকে পরবর্তী উমরা মধ্যবর্তী সময়ের (ছগীরা গুণাহের) কাফফারাস্বরূপ। আর হজ্জে মবরূরের (ক্রটিমুক্ত) একমাত্র প্রতিদান জান্নাত (নাসাঈ, হা/২৬২২; ইবনু মাজাহ, হা/২৮৮৮)।
উল্লেখ্য যে, এক সফরে দুই উমরাহ করা যাবে না। যেমন হজ্জ বা উমরা করতে গিয়ে এক ব্যক্তি একাধিক ওমরা করতে পারবে না। এ বিষয়ে সঊদী আরবের সাবেক প্রধান মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘কিছু সংখ্যক লোক হজ্জের পর অধিক সংখ্যক উমরাহ করার আগ্রহে ‘তানঈম’ বা জি‘ইর্রানাহ নামক স্থানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসেন। শরী‘আতে এর কোনই প্রমাণ নেই’ (দলীলুল হাজ্জ ওয়াল মু‘তামির, অনু : আব্দুল মতীন সালাফী, ‘সংক্ষিপ্ত নির্দেশাবলী’ অনুচ্ছেদ, মাসআলা-২৪, পৃঃ ৬৫)। সঊদী আরবের সাবেক ২য় মুফতী শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ আল-উছায়মীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এটি জায়েয নয়। বরং বিদ‘আত। কেননা এর পক্ষে একমাত্র দলীল হ’ল বিদায় হজ্জের সময় আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা-এর ওমরা। অথচ ঋতু এসে যাওয়ায় প্রথমে হজ্জে ক্বিরান-এর ওমরা করতে ব্যর্থ হওয়ায় হজ্জের পরে তিনি এটা করেছিলেন। তার সাথে ‘তানঈম’ গিয়েছিলেন তার ভাই আব্দুর রহমান। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি পুনরায় ওমরাহ করেননি। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথী অন্য কোন ছাহাবীও এটা করেননি’ (ঐ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, প্রশ্নোত্তর সংখ্যা ১৫৯৩; ঐ, লিক্বা-উল বাব আল-মাফতূহ, অনুচ্ছেদ ১২১, মাসআলা ২৮)। শায়খ আলবানীও একে নাজায়েয বলেছেন এবং একে ‘ঋতুবতীর ওমরা’ (عمرة الحائض) বলেছেন (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৯৮৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িমও একে নাজায়েয বলেছেন (যাদুল মা‘আদ, ২/৮৯ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আনোয়ার হোসেন
কাশিমপুর, গাজীপুর।