উত্তর: রামাযান মাসে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবাদাতের খুবই প্রচেষ্টা চালাতেন। ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের মধ্যে বড় দানশীন ছিলেন। আর তিনি রামাযান মাসে বেশি দান করতেন যখন জিবরীল আলাইহিস সালাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। আর জিবরীল আলাইহিস সালাম রামাযানের প্রতি রাতে তাঁর নিকট এসে তাকে কুরআন পড়ে শুনাতেন এবং তিনি মু্ক্ত বাতাসের চেয়ে দ্রুতগতিতে কল্যাণের অভিমুখি হতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬১৬)। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়, যখন সে সিজদারত থাকে। সুতরাং তখন তোমরা বেশি বেশি দু‘আ করো’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮২; মিশকাত, হা/৮৯৪)। এ আলোচনা থেকে বুঝা গেল, কুরআন তেলাওয়াত ও ছালাত উভয়েরই গুরত্ব ও ফজিলত আছে। সুতরাং উভয় মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার চেষ্টা করতে হবে। রমাযানকে উপলক্ষ্য করে ছালাত, কুরআন তিলাওয়াত ও দানের প্লান মাফিক রুটিন বানিয়ে নিতে হবে।
প্রশ্নকারী : মীর শাহ আলম
বাশখালী, চট্টগ্রাম।