উত্তর: ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সাধারণভাবে সম্পর্কের দিকে থেকে মাতার স্থান সর্বাগ্রে; তারপর পিতার স্থান। কেননা পিতামাতার সম্পর্ক হলো স্থায়ী এবং কোনো অবস্থাতেই এ সম্পর্ক ছিন্ন হবে না। এমনকি মৃত্যুর পর পর্যন্ত এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকে। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহারের সর্বাপেক্ষা হক্বদার ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, ‘তোমার মা’। সে বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, ‘এরপরও তোমার মা’। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, ‘তারপরও তোমার মা’। সে বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, ‘এরপর তোমার পিতা’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৩৯৪)। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মাতাপিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি (লাভ হয়), তাদের অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি রয়েছে’ (তিরমিযী, হা/১৯০০; আহমাদ, হা/২১২১০)। তারপর ভাইবোনের সম্পর্ক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পিতামাতা, আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করো’ (আন-নিসা, ৪/৩৬)। তবে স্ত্রীর ব্যয়ভার বহন ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, প্রণয় ইত্যাদি দৃষ্টিকোণ থেকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বেশি নিকটতর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা সৃজন করেছেন’ (আর-রূম, ২৪/২১)।
প্রশ্নকারী : সাব্বির খান