কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন : (১৫) অনেক সময় মসজিদে ছালাত আদায় করতে গিয়ে দেখি ইমাম সাহেব নেই, তার জায়গায় ইমামতি করছে সূদের সাথে জড়িত এমন ব্যক্তি। এমন সময় আমাদের করণীয় কী?

উত্তর : ইমামতির যোগ্য ব্যক্তি হলেন, কুরআন পাঠে পারদর্শী পরহেজগার ব্যক্তিগণ। আবূ মাসঊদ আনসারী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সেই ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করবেন যিনি আল্লাহর কিতাব পাঠে সবচাইতে অভিজ্ঞ। কুরআন পাঠে যদি সকলেই সমান হয় তবে যিনি তাঁদের মধ্যে সুন্নাহ সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা অভিজ্ঞ। তাতেও যদি সকলে একরকম হয় তবে যিনি আগে হিজরত করেছেন। তাতেও যদি সকলেই সমান হয় তবে যিনি আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৭৩)। তবে পাপিষ্ঠ ব্যক্তির পিছনে ছালাত হয়ে যাবে। কেননা, ছাহাবায়ে কেরাম ফাসেক ইমামের পিছনেও ছালাত আদায় করেছেন। আবূ সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে গিয়ে প্রথমে ছালাত আদায় করতেন। তারপর তিনি লোকদের দিকে ঘুড়ে দাড়িয়ে ওয়াজ করতেন, উপদেশ দিতেন, আদেশ করতেন। আর লোকেরা কাতার বন্দি হয়ে বসে থাকতো। আবূ সাঈদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, লোকেরা এ আমলের উপর ছিল। আমি মারওয়ানের সাথে ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে আসলাম। সে ছিল মদিনার আমীর। আমরা ঈদগাহে আসলে দেখতে পেলাম একটি মিম্বর যা কাছীর ইবনু ছালত বানিয়েছে। মারওয়ান যখন ছালাতের পূর্বেই মিম্বরে উঠতে উদ্দ্যত হল, তখন আমি তার কাপড় টেনে ধরে বাধা দিলাম। সে আমার বাধা উপেক্ষা করে মিম্বরে উঠে ছালাত আদায়ের পূর্বেই খুৎবা দিলেন... (ছহীহ বুখারী, হা/৯৫৬)। সূদের কারণে কোনো পাপ হলে তার উপরই বর্তাবে। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তারা তোমাদের ইমামতি করে। যদি তারা সঠিকভাবে আদায় করে তাহলে তার ছওয়াব তোমরা পাবে। আর যদি তারা ত্রুটি করে, তাহলে তোমাদের জন্য ছওয়াব রয়েছে, আর ত্রুটি তাদের (ইমামের) উপরই বর্তাবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৯৪; মিশকাত, হা/১১৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৯৪৩)।

-আজগর আলী

শিবগঞ্জ, চাপাইনবাবগঞ্জ।


Magazine