কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১৯) : বৃদ্ধ বয়সে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি মেলামেশা না থাকে তারা যদি এক বিছানায় না ঘুমায় তাহলে কি ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ হবে?

উত্তর: শুধু মেলামেশার জন্য এক বিছানায় থাকতে হবে একথা নয়। বরং স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সহযোগী। সুতরাং তারা এক সাথে থাকবে এটাই শরীআতের নির্দেশ। আর এর মাধ্যমে উভয়ের মাঝে সম্প্রতি ও ভালোবাসা তৈরী হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا ‌لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً﴾  ‘এবং তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন’ (আর-রূম, ২১)। সূরা আল-বাকারার মধ্যে মহান আল্লাহ স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের পোশাক হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন (আল-বাক্বারা, ২/১৮৭)। এ থেকে বুঝা যায় যে, স্বামী-স্ত্রী মৃত্যু পর্যন্ত এক বিছানায় থাকবে। কেননা পৃথক বিছানায় থাকলে স্বামী-স্ত্রী একজন আরেক জনের জন্য কষ্ট পেতে পারে। ভালোবাসার কমতি দেখা দিতে পারে। আর তা যদি কোনো রাগ কিংবা ঝগড়ার কারণে হয়, তাহলে স্ত্রী আল্লাহর নিকট অভিশপ্ত স্ত্রী হিসাবে গণ্য হবে। রাসূল a বলেছেন, ‘কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে আর স্ত্রী তাতে অসম্মতি জানায় আর এতে তার স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রযাপন করে, তাহলে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতাগণ তার জন্য অভিশাপ করতে থাকে’ (বুখারী, হা/৩২৩৭; মুসলিম, হা/১৪৩৬; মিশকাত, হা/৩২৪৬)। সুতরাং এক সাথে থাকাই শরীআতের নির্দেশ। তবে প্রয়োজনে সাময়িক সময়ের জন্য মনোমালিন্য ছাড়া ভিন্ন বিছানায় থাকতে পারে।

প্রশ্নকারী : মোঃ মুরসালিন

চাপাইনবাবগঞ্জ।

Magazine