কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর আক্বীদা বনাম হানাফীদের আক্বীদা (শেষ পর্ব)

(৭) ব্যক্তিবিশেষের প্রতি অতি ভক্তি : কথায় বলে, ‘অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ’। কিন্তু দ্বীনী ক্ষেত্রে সেটা আরো মারাত্মক; বলতে পারেন, ‘অতি ভক্তি শিরকের লক্ষণ’। কারণ এই অতি ভক্তির কারণেই বনূ আদম সর্বপ্রথম শিরকে জড়িয়ে পড়ে। সূরা নূহে (৭১/২৩) ওয়াদ, সুওয়া‘, ইয়াগূছ, ইয়া‘ঊক, নাসর নামের যেসব মূর্তির নাম এসেছে, তারা আসলে নূহ আলাইহিস সালাম-এর ক্বওমের মধ্যে নেককার মানুষ ছিলেন। তারা মারা গেলে শয়তান তাদের ক্বওমের লোকদের বলল, তারা যেখানে বসত, সেখানে তোমরা কিছু মূর্তি স্থাপন করো এবং ঐ সকল সৎলোকের নামানুসারেই সেগুলোর নামকরণ করো। ফলে তারা তাই করল। কিন্তু তখনও ঐসব মূর্তির পূজা করা হতো না। তবে মূর্তি স্থাপনকারী লোকগুলো মারা গেলে এবং মূর্তিগুলো সম্পর্কে সত্যিকারের জ্ঞান বিলুপ্ত হলে লোকজন তাদের পূজা করা শুরু করে দেয়।[1] এভাবে শিরকে জড়িয়ে গিয়ে তারা ধ্বংস হয়। সেকারণেই রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দ্বীনের ব্যাপারে সর্বপ্রকার বাড়াবাড়ি থেকে হুঁশিয়ার করে বলেন,يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِيَّاكُمْ وَالْغُلُوَّ فِي الدِّينِ، فَإِنَّهُ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمُ الْغُلُوُّ فِي الدِّينِ ‘হে মানুষেরা! তোমরা বাড়াবাড়ি থেকে সাবধান থাকো। কেননা বাড়িবাড়ি তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে’।[2] মানুষকে তার মর্যাদা দিতে হবে, ভালোবাসতে হবে, স্নেহ করতে হবে, ভক্তি দেখাতে হবে। তবে সবগুলোর সীমারেখা আছে। কাউকে তার প্রাপ্যের অধিক দেওয়া যেমন যুলম, কম দেওয়াও তেমনি যুলম। খোদ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিজের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন,

لاَ تُطْرُونِي، كَمَا أَطْرَتْ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ، فَقُولُوا عَبْدُ اللَّهِ، وَرَسُولُهُ

‘তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়িবাড়ি করো না, যেভাবে খ্রিষ্টানরা মারইয়াম-পুত্রের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে। কেননা আমি তো কেবল আল্লাহর একজন বান্দা। অতএব, তোমরা (আমার ব্যাপারে বলো,) আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল’।[3]

যদি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধ হয়, তাহলে দুনিয়াতে আর কে আছে, যার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা যাবে?! অথচ রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজটাই একশ্রেণির মুসলিম করে যাচ্ছে হরহামেশা। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপারে তো বটেই, এমনকি সাধারণ মানুষের ব্যাপারেও তারা চরম বাড়াবাড়ি করছে। মহান আল্লাহর রুবূবিয়্যাতের কিছু বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত তারা তাদেরকে দিতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করছে না! না‘ঊযুবিল্লাহ! আমাদের দেশে প্রচলিত বিভিন্ন তরীকা ও পীরমুরীদিতে আমরা এসব বাড়াবাড়ির অনেক নমুনা দেখতে পাই। আর আমাদের দেশের যারা এসব কাজে জড়িত, তাদের সিংহভাগ হানাফী হওয়ায় অনেকে ভাবে, এটা হয়তো হানাফী মাযহাবে আছে। কিন্তু আসলেই কি তাই? কখনই না, বরং যুগে যুগে হানাফী বিদ্বানগণ বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন থেকে সাবধান করেছেন ও কুরআন-হাদীছ থেকে দলীল পেশ করেছেন। তারা বাড়াবাড়ি নিষিদ্ধের যেসব দলীল পেশ করেছেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মহান আল্লাহ বলেন,﴿يَاأَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ إِنَّمَا الْمَسِيحُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ﴾ ‘হে আহলে কিতাব! তোমরা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না। আর তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে হক্ব ছাড়া অন্য কিছু বলো না। মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ঈসা কেবল আল্লাহর রাসূল ও তার কালিমা’ (আন-নিসা, ৪/১৭১)। তিনি আরো বলেন, قُلْ يَاأَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ غَيْرَ الْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعُوا أَهْوَاءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوا مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّوا كَثِيرًا وَضَلُّوا عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ ‘বলো, হে আহলে কিতাব! তোমরা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না, যারা ইতোপূর্বে নিজেরা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে’ (আল-মায়েদা, ৫/৭৭)। তারা এসব আয়াতের আলোকে বলতে চেয়েছেন যে, খ্রিষ্টানরা ঈসা আলাইহিস সালাম-এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার কারণে পথভ্রষ্ট হয়েছে। কেননা ঈসা আলাইহিস সালাম যে একজন মানুষ এবং আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ছিলেন, তারা তাকে এর উপরে মর্যাদা দিয়ে মা‘বূদ বানিয়ে নিয়েছে। ইয়াহূদীরাও দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে তাওহীদ থেকে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং বহু মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে।[4]

অতএব, তরীকত-হাকীকত-মারেফতের নামে, পীর-মুরীদির নামে, ছূফীবাদের নামে, ক্বলবে যিকির চালুর নামে আমাদের দেশে যারা ব্যক্তিপূজায় মত্ত, তারা এ ব্যাপারে না কুরআন-হাদীছের অনুসারী, না হানাফী মাযহাবের অনুসারী।

(৮) বরকতের পেছনে পড়া : উল্লিখিত অতিভক্তি ও বাড়াবাড়ির সাথে বরকতের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যারা ব্যক্তিবিশেষের প্রতি অতিভক্তির আক্বীদা রাখে, তাদের সাধারণত বরকতের পেছনে পড়তে দেখা যায়। আমাদের দেশে যারা কবর, মাযার, খানকা, পীর-মুরীদি ইত্যাদির সাথে জড়িত, মূলত তাদেরকে বরকত প্রাপ্তির নেশায় বেশি ছুটতে দেখা যায়। কোথায় কীভাবে বরকতের অনুমোদন ইসলামী শরীআতে আছে না আছে, সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করা হয় না। বরং বরকত হাছিলের নানা প্রচেষ্টা আমরা বিভিন্ন কবর, মাযার, খানকা, দরগা ও পীরের আস্তানায় আমরা দেখতে পাই। কবর স্পর্শ করা, চুমু খাওয়া, কবরের গ্রিলে ও আশপাশের গাছগাছালিতে সূতা-ফিতা বাঁধা, মাযারের দেওয়ালে চুমু খাওয়া, মুখ-বুক-পেট ঘষাঘষি করা, কবর-মাযারের মাটি, গাছের লতা, শিকড়, তাবীয গ্রহণ করা ইত্যাদির মাধ্যমে বরকত হাছিলের চেষ্টা আমাদের দেশের বরকত প্রত্যাশীদের নিয়মিত চিত্র। কথিত পীরের হাতে-পায়ে চুমু খাওয়া, পদতলে সেজদায় লুটিয়ে পড়ার মতো ঘটনা ঘটতেও কম দেখা যায় না। মাযার-খানকা সংলগ্ন মাছ, কুমির, কচ্ছপের মাধ্যমে বরকত হাছিলের মতো দুঃখজনক ঘটনাও প্রতিনিয়ত ঘটে এদেশে। খানকা-মাযারে বরকত লাভ ও বিভিন্ন নিয়্যত পূরণের উদ্দেশ্যে নযর-নেয়ায, শিরনি, টাকা-পয়সা ইত্যাদি সম্প্রদান করার চিত্রও কিন্তু কম দেখা যায় না। খানকা-মাযারে, পীরের দরবারে সিজদা দেওয়ার ঘটনাও তাওহীদপন্থী মুমিনকে দেখতে হয় হরহামেশা। এগুলো হচ্ছে, বরকত লাভের প্রচেষ্টার কিছু নমুনামাত্র।

এগুলো সবই বরকত লাভের নিষিদ্ধ প্রচেষ্টা ও পদ্ধতি, যার কিছু কিছু বিদআত, কিছু কিছু শিরক, এমনকি কুফর। তবে, শরীআত অনুমোদিত বরকত লাভের (اَلتَّبَرُّكُ) কিছু মাধ্যম ও পদ্ধতিও রয়েছে; যেগুলো এ সম্পর্কিত বই-পুস্তকে বিস্তারিত এসেছে।[5]

হানাফীরা কি সত্যিই ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর আক্বীদা গ্রহণ করে?

‘হানাফীরা কত ধরনের?’ এ শিরোনামের অধীনে আমরা দেখে এসেছি যে, সারা পৃথিবীজুড়ে অগণিত মুসলিম ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর দিকে নিজেদেরকে সম্বন্ধিত করে নিজেদের ‘হানাফী’ দাবী করে। কিন্তু সব হানাফী কি সমান? নিশ্চয়ই না, বরং তাদের কেউ কেউ আক্বীদা-আমল উভয় ক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর অনুসরণ করেছে। আবার কেউ কেউ তাকে শাখা-প্রশাখাগত মাসআলা-মাসায়েলে ইমাম মানলেও আক্বীদার ক্ষেত্রে মানতে পারেনি; বরং ভিন্ন কোনো আক্বীদা গ্রহণ করে বিভ্রান্ত হয়েছে।

বিভ্রান্ত-হেদায়াতপ্রাপ্ত মিলে হানাফীদের ডজনখানেক দল আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি; বিখ্যাত হানাফী মনীষী আব্দুল হাই লাক্ষ্মৌবী রাহিমাহুল্লাহ-এর বক্তব্যেই সেকথা ফুটে উঠেছে। তিনি তালিকার প্রথমে যাদেরকে রেখেছেন, তাদেরকে তিনি পূর্ণাঙ্গ হানাফী বলেছেন। আর পূর্ণাঙ্গ হানাফী হওয়ার যে মানদণ্ড তিনি উল্লেখ করেছেন, তা হচ্ছে আক্বীদা ও আমল উভয় ক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফাকে গ্রহণ করতে হবে।[6]

হানাফীরা কি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত নন?

আব্দুল হাই লাক্ষ্মৌবী রাহিমাহুল্লাহ হানাফী ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে, যারা আক্বীদা ও আমল উভয় ক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর অনুসরণ করে, তাদের মধ্যে ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মধ্যে শুধু এতটুকু পার্থক্য যে, এই অর্থে প্রত্যেকটা হানাফী আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের প্রত্যেকটা ব্যক্তি হানাফী নন। কেননা হতে পারে, তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু হানাফী নন; বরং মালেকী, শাফেঈ বা অন্য কিছু। সেই হিসেবে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত কথাটি বেশি ব্যাপক ও বিস্তৃত অর্থবোধক। আর হানাফী কথাটি সংকীর্ণ অর্থবোধক। এই প্রকারের হানাফী হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ হানাফী (الحنفية الكاملة)।

কিন্তু যারা অসম্পূর্ণ হানাফী অর্থাৎ যারা ইমাম আবূ হানীফাকে আমলে মানলেও আক্বীদায় মানে না, তাদের মধ্যে ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মধ্যে ঢের পার্থক্য রয়েছে। এ প্রকারের হানাফীর অনেকেই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারে। যেমন— মুরজিআ হানাফী, মু‘তাযিলা হানাফী।[7]

পরিশেষে বলব, প্রিয় হানাফী ভাইয়েরা! আপনারা যারা আবূ মানছূর মাতুরীদীর আক্বীদা পোষণ করেন, কিন্তু জানেন না কার আক্বীদা মানছেন; রবং ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর আক্বীদা মানছেন বলে মনে করছেন, আমি তাদেরকে বলছি, আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এবং দৃঢ় বিশ্বাস করতে হবে যে, আপনি যে মাতুরীদী আক্বীদা পোষণ করছেন, তার সাথে আপনার ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর আক্বীদার কোনোই সম্পর্ক নেই; বরং আছে আকাশ-পাতাল ফারাক্ব। কারণ আপনার আক্বীদার উদ্ভাবক ও আমদানীকারক আবূ মানছূর মাতুরীদীর জন্ম ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর মৃত্যুর বহু পরে। সুতরাং আপনি যে আক্বীদাই পোষণ করেন না কেন, সেটা আপনার ব্যাপার; আপনার হিসাব আপনাকেই দিতে হবে। তবে মেহেরবানী করে আপনার ধারণকৃত ও লালিত আক্বীদা ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর বলে চালিয়ে দেয়ার দুঃসাহস দেখাবেন না এবং এভাবে আপনার ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-কে অপবাদ দিবেন না, তার উপর জঘন্য মিথ্যারোপ করবেন না।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর নির্যাস ইমাম আবূ হানীফা রাহিমাহুল্লাহসহ সকল সালাফে ছালেহীনের অনুসৃত বিশুদ্ধ আক্বীদা-আমল জানার ও মানার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী 

বি. এ. (অনার্স), উচ্চতর ডিপ্লোমা, এম. এ. এবং এম.ফিল., মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব;
অধ্যক্ষ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৯২০।

[2]. সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৩০২৯, ‘ছহীহ’।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৪৫।

[4]. বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : জুহূদু উলামাইল হানাফিয়্যাহ ফী ইবত্বালি আক্বাইদিল কুবূরিয়্যাহ, ২/৮১৫-৮১৮।

[5]. বরকত লাভের বৈধ ও অবৈধ মাধ্যম ও পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন : (১) নাছের জুদাই‘, আত-তাবাররুকু : আনওয়া‘উহূ ওয়া আহকামুহী, (২) আলী ইবনে নুফাই, আত-তাবাররুকুল মাশরূ‘ ওয়াত তাবাররুকুল মামনূ‘, (৩) মুহাম্মাদ ছফওয়াত, আত-তাবাররুকুল মাশরূ‘ ওয়াল মামনূ‘ ইত্যাদি।

[6]. দ্রষ্টব্য : আর-রফ‘উ ওয়াত তাকমীল ফিল জারহি ওয়াত তা‘দীল, পৃ. ৩৮৫।

[7]. দ্রষ্টব্য : আর-রফ‘উ ওয়াত তাকমীল ফিল জারহি ওয়াত তা‘দীল, পৃ. ৩৮৭।

Magazine