ইসলামী শরীআতে ফরয ইবাদতের পাশাপাশি কিছু নফল ইবাদত রয়েছে। এসব ইবাদত অনেক ফযীলতপূর্ণ। নফল ইবাদত যতই ছোট হোক না কেন, এগুলো নিয়মিত আদায় করলে আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া যায়। ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ এসব নফল ইবাদতের অসীলায় আমাদের ক্ষমা করে দিতে পারেন। তেমনই একটি নফল ইবাদত হলো ক্বিয়ামুল লায়ল বা তাহাজ্জুদ ছালাত। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আমরা তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের সহজ কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
(১) আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাওয়া: একজন মুসলিমের জীবনে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া ব্যতীত সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া মুসলিমের জীবন চলা অসম্ভব। তাঁর সাহায্য আবশ্যক। বিশেষ করে ক্বিয়ামুল লায়ল এর ক্ষেত্রে। কেননা এই ছালাত আদায় করতে দিবে না বলে শয়তান বান্দাকে ঘুমের মধ্যে তিনটি গিঁট দেয়। যদি বান্দা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে ঘুমিয়ে যায়, তাহলে তার উপর শয়তান প্রভাব বিস্তার করতে অপারগ হয়।
ফলে বান্দা তার রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য গভীর রাতে তাঁর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য তাহাজ্জুদ ছালাতের লক্ষ্যে উঠতে সক্ষম হয়। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়াই চিরশত্রু শয়তানকে পরাস্ত করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। মহান আল্লাহ বলেন, إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ‘নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও তাদের রবেরই উপর নির্ভর করে, তাদের উপর তার কোনো আধিপত্য নেই’ (আন-নাহল, ১৬/৯৯)।
(২) আল্লাহকে ভালোবাসা ও তাঁর সাথে সম্পর্ক রাখা: বান্দার জন্য মা‘বূদ আল্লাহকে ভালোবাসা খুবই জরুরী। যে যত বেশি আল্লাহকে ভালোবাসবে এবং ছালাতের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করবে, সে তত বেশি আল্লাহর প্রিয়ভাজন বান্দাতে পরিণত হবে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন যখন ছালাতের মাধ্যমে হবে, তখন সে আল্লাহর বেলায়েত লাভ করবে তথা ওলী হতে পারবে। আল্লাহ তাঁর রহমতের চাদরে তাকে আবৃত করে নিবেন। আল্লাহ তাকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করবেন। তাছাড়া ইবাদতের রুকন তিনটির মধ্যে একটি হলো আল্লাহকে ভালোবাসা। আল্লাহকে না ভালোবাসা পর্যন্ত যে কারো পক্ষে মুসলিম ও মুমিন হওয়া অসম্ভব। এজন্য মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাআলার ব্যাপারে সুধারণা রাখতে হবে; নচেৎ আল্লাহর ব্যাপারে যেমন ধারণা পোষণ করবে, বান্দার ফলাফল তেমনই হবে যেমনটি সে ধারণা করেছে। এখানে সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসার মানদণ্ড হলো আল্লাহর জন্য। আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং তাঁর জন্যই কারো সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা হলো আক্বীদার অন্যতম একটি অধ্যায়। এজন্য আমরা বলি আল্লাহকে ভালোবাসা এবং তাঁর সাথে যত বেশি সম্পর্ক স্থাপন করা যায়, সেটা ততই বান্দার জন্য কল্যাণকর। যে আল্লাহকে ভালোবেসে তাঁর সাক্ষাৎ কামনা করবে, আল্লাহও তার সাথে সাক্ষাৎ করতে ভালোবাসেন। আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। এজন্য আল্লাহর আনুগত্যমূলক কাজে শরীক হওয়া এবং যাবতীয় অবাধ্যতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর মধ্যেই বান্দার জন্য বড় সফলতা নিহিত রয়েছে।
(৩) ক্বিয়ামুল লায়লের ফযীলত সম্পর্কে জানা: ক্বিয়ামুল লায়লের ফযীলত প্রায় সকলের জানা। আসমানের নিচে ও যমীনের উপরে ফরয ছালাতের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ছালাত হলো তাহাজ্জুদ ছালাত তথা রাতের ছালাত। তাহাজ্জুদ আদায়কারী মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দাদের মধ্যে অন্যতম। তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও পরকালে অগণিত কল্যাণ, সৌভাগ্য, সুখ ও শান্তি। তাদের প্রতিদান কেবল জান্নাত। তাদের সমতুল্য কেউ নেই, কিন্তু এটা তারা জানে না। তারা ঈমানের স্বীকৃতি দেয় তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের মাধ্যমে। অথচ সেই ইবাদত আদায় করা খুব সহজ কাজ নয়। নিঃসন্দেহে তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করা জান্নাতে প্রবেশের কারণসমূহের মধ্যে অন্যতম কারণ। এই ছালাত আদায়ের মাধ্যমে বান্দার মর্যাদা আল্লাহ তাআলা বৃদ্ধি করেন। তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করা হলো আল্লাহর সৎ, পরহেজগার বান্দাদের চিরাচরিত অভ্যাস। অতএব, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় একজন বান্দার প্রকৃত মর্যাদা লুক্বায়িত আছে তাহাজ্জুদের মধ্যে।
(৪) শয়তানের কৌশল জানা এবংতা আদায়ে বাধা প্রদানের বিষয়ে জানা: শয়তান বরাবরই মানুষকে যে কোনো ইবাদত কিংবা সৎ কাজ করতে নিরুৎসাহিত করবে, করতে দিবে না বলে সে মানুষের রক্তের শিরা-উপশিরায় ছুটে বেড়ায়। উদ্দেশ্য হলো, সে মানুষকে ইবাদত করতে দিবে না অথবা তার জন্য যে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে কিংবা তাকে উদাসীন করবে। এজন্য শয়তানের কৌশল ও প্ররোচনা জানা জরুরী। শয়তান যে পথেই তাকে প্ররোচিত করতে চায় না কেন, তাকে পরাস্ত করার জন্য পথ ও পন্থা অবলম্বন করা একজন মুমিনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে একজন লোকের কথা উল্লেখ করা হলো, যে রাতে ঘুমিয়েছে সকাল পর্যন্ত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ঐ লোকের কানে শয়তান পেশাব করেছিল’ অথবা তিনি বলেছেন, ‘তার দুই কানে’।[1] ছাহাবী আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুমায়, তখন শয়তান তার মাথার পশ্চাৎভাগে তিনটা গিঁট বেঁধে দেয় এবং শয়তান প্রত্যেক গিঁট বাঁধে এই বলে, ঘুমাও! রাত অনেক লম্বা আছে। অতঃপর যদি ঐ ব্যক্তি জাগ্ৰত হয় এবং আল্লাহকে স্মরণ করে, তাহলে একটা গিঁট খুলে যায়। অতঃপর যখন সে ওযূ করে, তখন আরেকটা গিঁট খুলে যায়। অতঃপর সর্বশেষ যখন সে ছালাত আদায় করে, তখন শেষ গিঁট খুলে যায়। ফলে ঐ ব্যক্তি একটি উৎফুল্ল সতেজ হৃদয়ের অধিকারী হয়, নচেৎ মন্দ অলসতার সকাল করে (যে ঘুম থেকে উঠে না)’।[2] ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল ‘আছ রযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন, ‘হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যক্তির মতো হয়ো না, যে একদিন রাতে ওঠে, অতঃপর রাতের ছালাত পরিত্যাগ করেছে।’।[3] ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা একদিন একটা স্বপ্ন দেখেন, অতঃপর তা বর্ণনা করেন উম্মুল মুমিনীন হাফছা রযিয়াল্লাহু আনহা-এর কাছে (তাঁর বোন)। অতঃপর হাফছা রযিয়াল্লাহু আনহা এই ঘটনা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বর্ণনা করেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কতই না উত্তম ব্যক্তি আব্দুল্লাহ! যদি সে তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করত’। একথা শুনার পর ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা রাতে খুব কমই ঘুমাতেন।[4]
(৫) কম আশা-আকাঙ্ক্ষা করা এবং বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করা: কম আশা-আকাঙ্ক্ষা করা এবং মৃত্যুর কথা বেশি স্মরণ করা আমল করতে বাধ্য করে এবং সকল প্রকার অলসতা বিতাড়িত করে। ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, একদিন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাঁধ ধরলেন এবং বললেন, ‘তুমি দুনিয়াতে বসবাস করো যেন তুমি বান্ধবহীন প্রবাসী অথবা মুসাফির’। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা প্রায় বলতেন, যখন তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হবে, তখন সকালের অপেক্ষা করবে না এবং যখন তুমি সকালে উপনীত হবে, তখন তুমি সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করবে না। অসুস্থতার জন্য সুস্থতাকে গনীমত হিসেবে গ্ৰহণ করো এবং মৃত্যুর জন্য জীবনকে গনীমত হিসেবে গ্ৰহণ করো।[5] এজন্য কতিপয় পরহেযগার ব্যক্তি বলেন, আমি আশ্চর্য হই ঐ ব্যক্তিকে দেখে, যার দেহ সুস্থ এবং সেই যুবক ফজর পর্যন্ত ঘুমিয়েছে; অথচ মৃত্যু থেকে সে নিরাপদ হয়নি।
(৬) সুস্থতা ও অবসর সময়কে গুরুত্ব দেওয়া: তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের জন্য শারীরিক সুস্থতা ও সকল কর্ম, পেরেশানি, ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী। শারীরিক সুস্থতা ও অবসর সময়কে একজন মুসলিম ও মুমিনের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেয়ামত ও মহামূল্যবান সম্পদতুল্য। তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের জন্য শারীরিক সুস্থতা ও অবসর সময় সবচেয়ে বেশি উপযোগী মাধ্যম। এই আমলের যদি ধারাবাহিকতা থাকে, তাহলে সে অসুস্থ অবস্থায়ও সুস্থ থাকার সময় যে নিয়মিত আমল করত, তার ছওয়াবের অধিকারী হবে। ছাহাবী আবূ মূসা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কোনো বান্দা অসুস্থ হয় অথবা কোনো সফর করে, তাহলে তার আমলনামায় অনুরূপ ছওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়, সুস্থ থাকাবস্থায় সে যেমন আমল করত, সেইরূপ আমলের ছওয়াব’।[6]
অতএব, কোনো বিবেকবান মানুষের উচিত নয় এই মহামূল্যবান সময়কে নষ্ট করা; বরং তার সময়কে যথার্থ মূল্যায়ন ও কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। এজন্য শারীরিক সুস্থতায় ও অবসর সময়ে আল্লাহর ইবাদতে কাটানো এবং আমলে ছালেহ সম্পাদন করার কাজে বান্দা যেন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ ‘অধিকাংশ মানুষ দুটি নেয়ামতের ব্যাপারে ধোঁকাগ্রস্ত— শারীরিক সুস্থতা ও অবসর সময়’।[7] ছাহাবী ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ব্যক্তিকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন, ‘তোমরা পাঁচটি জিনিসকে পাঁচটি জিনিসের উপর প্রাধান্য দিবে— ১. যৌবনকালকে বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বে মূল্যায়ন করবে, ২. অসুস্থ হওয়ার পূর্বে সুস্থতাকে মূল্যায়ন করবে, ৩. দারিদ্র্য আসার আগেই সচ্ছলতাকে মূল্যায়ন করবে, ৪. ব্যস্ততা আসার আগেই অবসর সময়কে মূল্যায়ন করবে এবং ৫. মৃত্যু আসার পূর্বে জীবনকে মূল্যায়ন করবে’।[8]
(৭) তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ব্যাপারে আগ্ৰহী হওয়া: ফজরের ছালাত এবং তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী, প্রফুল্ল, ফুরফুরে মেজাজ তৈরি করতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর কোনো বিকল্প নেই। সম্ভবপর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের একটি সহজ মাধ্যম। ছাহাবী আবূ বারযাহ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পূর্বে ঘুমানো এবং এশার পর গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন।[9] ইমাম তিরমিযী রহিমাহুল্লাহ বলেন, ছাহাবী, তাবেঈ এবং তাবে-তাবেঈগণের মধ্যে এশার পর কথা বলার ব্যাপারে মতানৈক্য বিদ্যমান। তাদের মধ্যে একদল এশার পর খোশগল্প করাকে অপছন্দ করেছেন। আরেকদল এশার পর ইলমী আলোচনার ক্ষেত্রে এবং বিশেষ প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন ।[10]
(৮) ঘুমানোর আদবের ব্যাপারে আগ্ৰহী হওয়া: একজন তাহাজ্জুদ আদায়কারী ব্যক্তি ঘুমানোর আদব তথা নিয়মনীতি অনুসরণ করবেন। পবিত্র শরীরে ওযূ করবে, কুরআন-হাদীছে বর্ণিত দু‘আসমূহ পাঠ করবে। অতঃপর ঘুমানোর দু‘আ পাঠ করে সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীর মাসাহ করবে। মাসাহ করার নিয়ম হলো, মাথা থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকু মাসাহ করবে। এমনটা তিনবার করবে। অতঃপর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে এবং সেই সাথে সূরা বাক্বারার শেষ আয়াত পাঠ করবে। অতঃপর ঘুমানোর দু‘আসমূহ পাঠ করে ঘুমাবে।
ঘুমানোর আদব রক্ষা করে কোনো ব্যক্তি যদি ঘুমায়, তাহলে সে যেমনভাবে ইবাদতের ছওয়াব পেলেন, ঠিক তেমনি তিনি সুন্নাহ অনুসরণ করলেন।
পরিশেষে বলা যায়, তাহাজ্জুদ ছালাত আমাদেরকে আল্লাহর প্রিয় বান্দাতে পরিণত করতে সাহায্য করবে। তাই আমাদের উচিত তাহাজ্জুদসহ অন্যান্য নফল ইবাদত আদায়ের চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল ইবাদত পালন সহজতর করুন এবং তাঁর নৈকট্য অর্জন করার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!
মো. মাযহারুল ইসলাম
দাওরায়ে হাদীছ, মাদরাসা দারুস সুন্নাহ, মিরপুর, ঢাকা;
শিক্ষক, হোসেনপুর দারুল হুদা সালাফিয়্যাহ মাদরাসা, খানসামা, দিনাজপুর।
[1]. ছহীহ বুখারী, হা/১১৪৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৭৪।
[2]. ছহীহ বুখারী, হা/১১৪২; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৭৬।
[3]. ছহীহ বুখারী, হা/১১৫২; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫৯।
[4]. ছহীহ বুখারী, হা/১১২১, ১১২২।
[5]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪১৬।
[6]. ছহীহ বুখারী, হা/২৯৯৬।
[7]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪১২।
[8]. আল-জামে‘ আছ-ছগীর, হা/১০৮৮।
[9]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪১।
[10]. ইমাম নববী, আল আযকার, পৃ. ৫৩৩।
[11]. আইয়ুহাল মুযনিব বি‘সা মাখতারতা, পৃ. ৮।
[12]. আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাজার আল-মাক্কী, আল-জাওয়াযের আন ইকতিরাফিল কাবায়ের, পৃ. ১২৮।