উত্তর: Democracy বা গণতন্ত্র একটি কুফরী মতবাদ। এই তন্ত্রে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জনগণের হাতে অথবা তাদের নিযুক্ত প্রতিনিধির হাতে অর্পণ করা হয়। আর ইসলামে সর্বময় ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘যাবতীয় কর্তৃত্ব সমুচ্চ মহান আল্লাহরই’ (গাফির, ৪০/১২)। আরো বলেন, ‘বিধান দেওয়ার অধিকার শুধু আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া আর কারও উপাসনা করবে না। এটাই সরল-সঠিক দ্বীন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা অবগত নয়’ (ইউসুফ, ১২/৪০)। গণতন্ত্রে জনগণের সার্বভৌমত্ব মানা হয়, যা স্পষ্ট শিরক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধর্ম নিছক একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার। সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থনীতিতে ধর্মের কোনো প্রবেশাধিকার মান্য করা হয় না। এছাড়াও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একজন মুচি বা মেথরও নেতা হতে পারে, যেখানে যোগ্যতা মুখ্য বিষয় নয়। তাই গণতান্ত্রিক কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হওয়া বৈধ নয়।