উত্তর: মাঝে মাঝে মসজিদে ছালাতের পর দ্বীনী আলোচনা করা বা হাদীছের বই পড়ে জনগণকে শোনানো প্রশংসনীয় কাজ। ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রেখে নির্দিষ্ট দিনে নছীহত করতেন, আমরা যাতে বিরক্ত বোধ না করি (ছহীহ বুখারী, হা/৬৮) এবং তা অবশ্যই হতে হবে কোনো বিশুদ্ধ কিতাব থেকে। যেমন- ছহীহুল বুখারী বা ছহীহ মুসলিম। যদি সেখানে দ্বীনের বিশুদ্ধ আলোচনা না হয় বা বিদআতের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকে, তাহলে সেখানে বসা যাবে না। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা কোনো এক মসজিদে মুয়াযযিনের তাসবীব শোনা মাত্রই এ বলতে বলতে মসজিদ হতে বের হয়ে আসলেন, এ বিদআতীর কাছ থেকে আমাদের বের করো। তিনি সেখানে ছালাত আদায় করলেন না (আবূ দাঊদ, হা/৫৩৮; তিরমিযী, হা/১৯৮)। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তার কাছে এসে বলল, অমুক আপনাকে সালাম দিয়েছে। তখন আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি জানতে পেরেছি সে বিদআতে জড়িত। তার কাছে আমার সালাম পৌঁছাবে না (মুসনাদে আহমাদ, হা/৬২০৭)। একদল গোষ্ঠির প্রসিদ্ধ বই ফাযায়েলে আমল বা মুন্তাখাব হাদীছে অনেক জাল-যঈফ হাদীছ ও বানোয়াট ঘটনা পাওয়া যায়, যার কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না। এমতাবস্থায় এর মাধ্যমে মানুষের আক্বীদা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে বিশুদ্ধ কোনো বই পড়ার ব্যবস্থা করা উচিত। আর কোনো বৈঠক শেষে সম্মিলিত মুনাজাতের কোনো দলীল নেই।
প্রশ্নকারী : ইউসুফ আলী
দিনাজপুর সদর।