উত্তর : দ্বীনী ইলম অর্জন করা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আবশ্যক। এই মর্মে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ ‘দ্বীনী ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। (ছহীহ ইবনু খুজায়মা, হা/২২৪; ছহীহুল জামে’, হা/৩৯১৩ ‘হাদীছ ছহীহ’)। পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় মহাপাপ। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, الْكَبَائِرُ: الْإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ ‘কবীরা গুনাহসমূহ হলো- আল্লাহ তাআলার সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা কসম করা’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৬৭৫; মিশকাত, হা/৫০)। মহান আল্লাহ তাঁর ইবাদতের পরপরই পিতা-মাতার সাথে সদাচরণের উপদেশ দিয়েছেন (আল-ইসরা, ২৩)। অতএব, জ্ঞান অর্জনের জন্য পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া যাবে না। জ্ঞান অর্জনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জ্ঞান অর্জন করা ভালো। তবে কেবল প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জ্ঞান অর্জন করা যায় এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং জ্ঞান অর্জনের অনেক পথ ও পন্থা রয়েছে। যেমন ইসলামী বই-পুস্তক বেশি বেশি অধ্যায়ন করা, নিজে লাইব্রেরি স্থাপন করা, অনলাইন বা অফলাইন সঠিক আক্বীদায় বিশ্বাসী আলেমদের দারস (ক্লাস) গ্রহণ করা, সঠিক আক্বীদায় বিশ্বাসী আলেমদের বক্তব্য শ্রবণ করা, প্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধান বিজ্ঞ মুফতিদের নিকট জেনে নেওয়া ইত্যাদি। সুতরাং পিতা-মাতাকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করার পরেও বোঝাতে ব্যর্থ হলে উল্লিখিত পথগুলো অনুসরন করে জ্ঞান অন্বেষণ করতে হবে। তবুও পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া যাবে না।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আলী নাঈম
মান্দা, নওগাঁ