উত্তর : শারঈ কারণবশত মসজিদ স্থানান্তর করলে পূর্বের জায়গা বিক্রি করা যাবে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ নতুন মসজিদে ব্যয় করা যাবে। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর যুগে কূফার দায়িত্বশীল ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহুমা। একদা মসজিদ হতে বায়তুল মাল চুরি হলে সে ঘটনা উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে জানানো হয়। তিনি মসজিদ স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন। ফলে মসজিদ স্থানান্তরিত হয় এবং পূর্বের স্থান খেজুর বিক্রির বাজারে পরিণত হয় (ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়্যা, ৩১/২১৭)। একদা ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, যদি মসজিদে স্থান সংকুলান না হয় এবং স্থানটি সংকীর্ণ হওয়ার কারণে তার চাইতে প্রশস্ত স্থানে মসজিদ স্থানান্তর করা হয়, অথবা মসজিদটি জীর্ণ ও বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ঐ মসজিদ ও তার মাটি বিক্রি করে অন্যত্র নতুন মসজিদ প্রতিষ্ঠায় তা ব্যয় করতে হবে, যা আগের চাইতে অধিক কল্যাণকর হয়। এক্ষেত্রে ‘মাছলাহাত’-কে অগ্রাধিকার দিতে হবে, ‘প্রয়োজন’-কে নয়, যা অনেক সময় নিষিদ্ধ বস্তুকে বৈধ করে। অতএব বাধ্য না হলেও অধিকতর কল্যাণ বিবেচনায় মসজিদ স্থানান্তর করা যাবে। যেমন সংকীর্ণ ও ঘিঞ্জি এলাকা থেকে মসজিদ সরিয়ে খোলা ও প্রশস্ত এবং রাস্তা সংলগ্ন স্থানে পুনঃস্থাপন করা। সেক্ষেত্রে পুরানো মসজিদ ও তার মাটি বিক্রি করে নতুন মসজিদে লাগাবে। কারণ এর মধ্যেই ওয়াকফকারীর জন্য অধিক নেকী রয়েছে। এমতাবস্থায় বিক্রীত জমিতে যেকোনো বৈধ স্থাপনা করা যাবে (ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়্যা, ৩১/২১৬, ২২৪, ২২৭, ২৩৩)।
প্রশ্নকারী : হারুনুর রশীদ
হরিনাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ।