কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৫) : পুরাতন মসজিদ বদলি করার জন্য অন্য স্থানে নতুন করে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এখন পুরাতন মসজিদের স্থানে বসতবাড়ি স্থাপন বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে কি? আর পুরাতন মসজিদের কোনো মাটি নতুন মসজিদে দিতে হবে কি?

উত্তর : শারঈ কারণবশত মসজিদ স্থানান্তর করলে পূর্বের জায়গা বিক্রি করা যাবে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ নতুন মসজিদে ব্যয় করা যাবে। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর যুগে কূফার দায়িত্বশীল ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহুমা। একদা মসজিদ হতে বায়তুল মাল চুরি হলে সে ঘটনা উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে জানানো হয়। তিনি মসজিদ স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন। ফলে মসজিদ স্থানান্তরিত হয় এবং পূর্বের স্থান খেজুর বিক্রির বাজারে পরিণত হয় (ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়্যা, ৩১/২১৭)। একদা ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, যদি মসজিদে স্থান সংকুলান না হয় এবং স্থানটি সংকীর্ণ হওয়ার কারণে তার চাইতে প্রশস্ত স্থানে মসজিদ স্থানান্তর করা হয়, অথবা মসজিদটি জীর্ণ ও বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ঐ মসজিদ ও তার মাটি বিক্রি করে অন্যত্র নতুন মসজিদ প্রতিষ্ঠায় তা ব্যয় করতে হবে, যা আগের চাইতে অধিক কল্যাণকর হয়। এক্ষেত্রে ‘মাছলাহাত’-কে অগ্রাধিকার দিতে হবে, ‘প্রয়োজন’-কে নয়, যা অনেক সময় নিষিদ্ধ বস্তুকে বৈধ করে। অতএব বাধ্য না হলেও অধিকতর কল্যাণ বিবেচনায় মসজিদ স্থানান্তর করা যাবে। যেমন সংকীর্ণ ও ঘিঞ্জি এলাকা থেকে মসজিদ সরিয়ে খোলা ও প্রশস্ত এবং রাস্তা সংলগ্ন স্থানে পুনঃস্থাপন করা। সেক্ষেত্রে পুরানো মসজিদ ও তার মাটি বিক্রি করে নতুন মসজিদে লাগাবে। কারণ এর মধ্যেই ওয়াকফকারীর জন্য অধিক নেকী রয়েছে। এমতাবস্থায় বিক্রীত জমিতে যেকোনো বৈধ স্থাপনা করা যাবে (ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়্যা, ৩১/২১৬, ২২৪, ২২৭, ২৩৩)।

প্রশ্নকারী : হারুনুর রশীদ

হরিনাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ।


Magazine