কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১) : আমরা তো জানি যে, ইসলামের ছোট-খাটো যেকোনো বিষয় অস্বীকার করা কুফুরী। এখন ইসলামের ইখতেলাফপূর্ণ বিষয়গুলোর একটিকে স্বীকার করে ভিন্ন মতটিকে অস্বীকার করা কি ফুফুরী হবে? কেননা ভিন্ন মতটিও সঠিক হতে পারে।

উত্তর : ইসলামের যে সমস্ত বিধানের ব্যাপারে মতভেদের সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যদি উভয়টি দলীল দ্বারা সাব্যস্ত হয় তাহলে যেটি বেশি যুক্তিযুক্ত তা পালন করতে হবে। আর যদি এমনটি হয় যে, একটি দলীল দ্বারা সাব্যস্ত আর অপরটি প্রবৃত্তি অনুযায়ী হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দলীল দ্বারা সাব্যস্ত বিষয়টি গ্রহণ করতে হবে আর অপরটি পরিহার করতে হবে। আর যদি কোনো মুজতাহিদ ইজতেহাদের মাধ্যমে কোনো ফতওয়া দিয়ে গিয়েছেন যা পরবর্তীতে ভুল সাব্যস্ত হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি পাপী হবেন না বরং নেকী পাবেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন বিচারক ইজতেহাদ করে বিচার করে এবং তা ঠিক হয় তখন দুই নেকী পান আর যদি ভুল হয়ে যায় তবুও এক নেকী পান ( ছহীহবুখারী, হা/৭৩৫২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৬)। তবে যদি তার অনুসারীরা জেনে-বুঝেও সঠিকটাকে অস্বীকার করে ভুলটিকে গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে তারা বড় ধরনের কুফরী করল। যা মূলত ঈমান ভঙ্গের কারণ। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘তুমি তাদের মাঝে আল্লাহ যা অবর্তীণ করেছেন সে অনুযায়ী সমাধান প্রদান করো এবং তুমি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না (আল-মায়েদা, ৫/৪৯)। অতএব একজন ‍মুসলিম হিসাবে উচিত হবে দলীল সম্মত বিষয় গ্রহণ করা এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ পরিহার করা।

-আকিবুল ইসলাম

রেলগেইট, ফেনী।


Magazine