কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৮) : উভয়ের অভিভাবকের অজান্তে কাজী অফিসে দুজন অপরিচিত সাক্ষীর মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের বিবাহ হয়। একটি সন্তান হওয়ার পরে ছেলে মেয়েকে প্রথমে এক তালাক দেয় এবং তারপর কিছুদিন ঘর-সংসার করার পরে আবার একসাথে দুই তালাক দেয়। উক্ত বিবাহ ও তালাক কি বৈধ হবে? যদি না হয় তাহলে ঐ সন্তানটির ব্যাপারে করণীয় কী?

উত্তর : প্রথমত, উক্ত বিবাহ বৈধ হয়নি। সুতরাং তালাক কার্যকর হওয়ার প্রশ্নেই আসে না। কেননা মেয়ের অবিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ কার্যকর হয় না। যেহেতু প্রশ্নোল্লিখিত বিবাহটি অবিভাবকের অজান্তে হয়েছে তাই উক্ত বিবাহ বাতিল বলে গণ্য হবে। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোনো মহিলা বিয়ে করলে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল’ (আবূ দাউদ, হা/২০৮৩; তিরমিযী, হা/১১০২; মিশকাত, হা/৩১৩১)। এখানে তারা উভয়েই শাস্তিপ্রাপ্তদের স্থলাভিষিক্ত। তবে এ মহাপাপের জন্য তাদেরকে তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের উক্ত সন্তান জারজ সন্তান বলে গণ্য হবে এবং সে পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না। তবে মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ৩/৩৭২)। মাতৃ পরিচয় নিয়ে মায়ের তত্ত্বাবধানে থাকবে (ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়েমা, ২০/৩৮৭)। রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি স্বাধীন মহিলার সাথে যেনা করলে এবং অবৈধভাবে সন্তান জন্ম নিলে ঐ সন্তান নিজেও উত্তরাধিকারী হবে না এবং ঐ সন্তানের সম্পদেও (মা ব্যতীত) অন্য কেউ উত্তরাধিকারী হবে না’ (তিরমিযী, হা/২১১৩; মিশকাত, হা/৩০৫৪)।

প্রশ্নকারী : শেখ মানিক হোসেন

মানিকদিয়া, মেহেরপুর।


Magazine