উত্তর : আল্লাহ বনী আদমকে সম্মানিত করেছেন (আল ইসরা, ১৭/৭০)। তাই মানুষ জীবিত-মৃত সর্বাবস্থায় সম্মানিত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা জীবিত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গার মতোই (পাপ)’ (আবূ দাঊদ, হা/৩২০৭; ইবনু মাজাহ, হা/১৬১৬)। তাই জরুরী প্রয়োজন ছাড়া এক কবরের ওপর আরেকজনকে কবর দেওয়া অথবা কবরের ওপরে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা কিংবা তার ওপরে বসা জায়েয নয়। জাবের রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে ও কবরের উপর গৃহ নিৰ্মাণ করতে নিষেধ করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৭০)। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কারো কবরের উপর বসার চেয়ে আগুনের ফুলকির উপর বসে পরিধেয় বস্ত্র পুড়ে গিয়ে সেই আগুন শরীরের চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া অধিক উত্তম’ (আবূ দাঊদ, হা/৩২২৮)। তবে যদি কবর অনেক পুরাতন হয়ে যায় এবং কবর কিংবা মৃত ব্যক্তির কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকে, তাহলে এমন স্থান ভরাট করে আবার নতুন করে কবর দেওয়া অথবা সেই যমিন আবাদ করা অথবা তার ওপর প্রাসাদ নির্মাণ করাতে কোনো সমস্যা নেই (আল-মাজমূ, ৫/২৭৩; আল-মুগনী, ২/১৯৪)।
প্রশ্নকারী : ইসমাইল শেখ
মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ