উত্তর: উপযুক্ত পাত্র পাওয়া গেলে অভিভাবকদের কর্তব্য হলো কন্যা বিবাহ দিয়ে দেওয়া। নয়তো যমিনে ফাসাদ সৃষ্টি হবে। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কাছে এমন কারো বিবাহের প্রস্তাব আসে, যার দ্বীন ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, তাহলে তার সাথে বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তা না কর, তবে পৃথিবীতে বড় ফিতনা-ফাসাদ ও অশান্তি সৃষ্টি হবে’ (তিরমিযী হা/১০৮৫; ইবনু মাজাহ, হা/১৯৬৭)। বিবাহের ক্ষেত্রে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়ের অনুমতি নিতে বলেছেন। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কুমারী নারী বিয়ে দেওয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার অনুমতি গ্রহণ করা হবে। আর বিধবা নারী বিয়ে দেওয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মত গ্রহণ করা হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৬৯৬৭)। মেয়ে কোনো দ্বীনদার পুরুষকে বিবাহ করতে চাইলে আর পিতামাতার এতে অসম্মতি থাকলে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে, নিজে বা কোনো সম্মানিত ব্যক্তিকে দিয়ে বুঝাবে।
– মো. এনামুর রহমান
সাতক্ষীরা।