কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩): আমাদের মসজিদের ইমাম জাল হাদীছ ও সুফী আক্বীদা প্রচার করেন এবং কাচের গ্লাস দিয়ে ঝাড়ফুঁক করেন, যেখানে জিনের সহযোগিতার আলামত পাওয়া যায়। তার পেছনে ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি? এ ধরনের ঝাড়ফুঁক কি শরীআতসম্মত?

উত্তর: যদি ইমামের প্রচারিত জাল হাদীছগুলোর বিষয়বস্তু কুফরী না হয় এবং প্রচারিত সুফী আক্বীদা, যেমন- গায়রুল্লাহকে ক্ষমতা দেওয়া, আল্লাহর সঙ্গে সত্তাগত ঐক্য (ওয়াহদাতুল উজূদ) ইত্যাদি স্পষ্ট শিরক বা কুফরী বিশ্বাস না হয়, তাহলে তার পিছনে ছালাত পড়া বৈধ হবে। আর যদি জাল হাদীছগুলোর বিষয়বস্তু কুফরী হয় এবং সুফী আক্বীদাতে স্পষ্ট শিরক বা কুফরী পাওয়া যায়, তাহলে তার পেছনে ছালাত পড়া বৈধ হবে না। আর কাচের গ্লাস, জিনের নাম, অজানা ভাষা, জ্যোতিষ, বা তাবীয-কবচের মাধ্যমে যদি ঝাড়ফুঁক করা হয়; তাহলে তা শিরক এবং জিনের সাহায্য নিলে তা শিরক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আর এ ধরনের ঝাড়ফুঁক শরীআতসম্মত নয়। আউফ ইবনু মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা জাহেলী যুগে ঝাড়ফুঁক করতাম। অতঃপর আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থাগুলো আমার সামনে পেশ করো; তবে যেসব ঝাড়ফুঁক শিরকের পর্যায়ে পড়ে না, তাতে কোনো দোষ নেই’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২০০; আবূ দাঊদ, হা/৩৮৮৬)। উল্লেখ্য, জাল হাদীছ প্রচার করা নাজায়েয। তবে মানুষকে তা থেকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে বলা যায়।

প্রশ্নকারী : তোফায়েল আহমেদ

নলডাঙ্গা, নাটোর।


Magazine