দিনটি ছিল কুয়াশাময়
ধূসর ছিল আকাশ,
লেপ-কাঁথাতেও কাটল না শীত
ঠান্ডা ছিল বাতাস।
ফজরের সময় উঠে দেখি
ঘাসে ঘাসে শিশির,
রং-বেরঙের অতিথি পাখি
করছে কিচিরমিচির।
অনতিদূরে গাছের দিকে
ঘুরিয়ে দেখি ঘাড়,
এত সকালেও গাছিরা যত
নামাচ্ছে রসের ভাঁড়।
এসব যখন দেখছি আমি
দাঁড়িয়ে আছি একা,
হঠাৎ করেই জাদুর মতো
পেলাম চাচার দেখা।
বললেন আমায়, কী দেখছিস?
এখানে এসে বস,
গাছ থেকে পেড়ে খাওয়ালেন
খেজুরগাছের রস।
গুড়, রস খেয়ে ঘটল যবে
আমার পেটের বিকাশ,
চিন্তিত মনে এই শীত নিয়ে
করছি হিসাবনিকাশ।
এবারের শীতে পরবটা কী?
সোয়েটার নাকি জ্যাকেট?
মুশকিল হবে কাপড়ে যদি
না থাকে এয়ার পকেট।
বলবে, শীতবস্ত্র কেনা
কঠিন কী এমন কাজ,
দেখেশুনে না কিনলে ঠকবে
মাথায় পড়বে বাজ।
ত্বকের যত্নে লাগবেটা কী?
ভ্যাসলিন নাকি লোশন?
শীতে ত্বকের অযত্ন হলে
ক্ষতি হয়ে যাবে ভীষণ।
এসব কথা ভাবছি যখন
আম্মু পিঠা দিয়ে গেল ঘরে,
গরম পিঠা খেয়ে নিই আগে
লিখব না হয় পরে।
-বাসসাম ইবনে আব্দুল আলীম
অধ্যয়নরত, ৬ষ্ঠ শ্রেণি, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ
রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
