উত্তর: এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা জায়েয, যাতে দ্বীনী কল্যাণ রয়েছে; অন্যথায় তা জায়েয নয় (আবূ দাঊদ, হা/২৫৭৪; তুহফাতুল আহওয়াযী, ৫/২৮৬)। টাকা তুলে ছাত্রদের মাঝে পুরস্কারের ব্যবস্থা করাও যায়। আমর বিন সালামা রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর হাদীছে এসেছে, (এরপর ছালাত আদায় করার সময় হলো) সবাই এ রকম একজন লোককে খুঁজতে লাগল। কিন্তু আমার চেয়ে অধিক কুরআন মুখস্থকারী অন্য কাউকে পাওয়া গেল না। কেননা আমি কাফেলার লোকদের থেকে শুনে (কুরআন) মুখস্থ করতাম। কাজেই সকলে আমাকেই (ছালাত আদায়ের জন্য) তাদের সামনে এগিয়ে দিল। অথচ তখনো আমি ছয় কিংবা সাত বছরের বালক। আমার একটি চাদর ছিল, যখন আমি সিজদায় যেতাম, তখন চাঁদরটি আমার গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে উপরের দিকে উঠে যেত। (ফলে পেছনের অংশ অনাবৃত হয়ে পড়ত) তখন গোত্রের জনৈক মহিলা বলল, তোমরা তোমাদের ইমামের পেছনের অংশ আবৃত করে দাও না কেন? তাই সবাই মিলে কাপড় খরিদ করে আমাকে একটি জামা তৈরি করে দিল। এ জামা পেয়ে আমি এত আনন্দিত হয়েছিলাম যে, কখনো অন্য কিছুতে এ আনন্দিত হইনি (ছহীহ বুখারী, হা/৩৯৭১)। তবে বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠান পরিচালকের অবগতিতে থাকতে হবে এবং কাজগুলো আমানতদারিতার সাথে হতে হবে।
প্রশ্নকারী : হেলাল
ঢাকা।
