কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪২): মহিলারা কি পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতে পারবে? কারণ নারী বন্দিদের জন্য নারীদের প্রয়োজন হয়, আরো বিভিন্ন কাজে নারীদের প্রয়োজন হয়।

উত্তর: নারীদের ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা হলো নিজ গৃহে অবস্থান করা, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের না হওয়া (আল-আহযাব, ৩৩/৩৩)। ইসলাম নারীর উপর উপার্জন করাকে আবশ্যক করেনি; বরং তার অভিভাবকের উপর আবশ্যক করেছে যে, সে তার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে। ইসলামে নারীদের অভিভাবকহীন হওয়ার কোনো পরিস্থিতি নেই। যদি সাধারণ অভিভাবক বিদ্যমান না থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে রাষ্ট্র হবে তার অভিভাবক। সুতরাং একজন নারী চাকরির প্রয়োজনে ঠিক তখনই ঘর থেকে বের হতে পারবে, যখন তার অভিভাবক আর্থিক দায়িত্ব পালন করবে না। এক্ষেত্রে চাকরি জায়েয হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত শর্তাবলি রয়েছে- ১. পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে বাইরে বের হতে হবে (আল-আহযাব, ৩৩/৫৯)। ২. চাকরির ক্ষেত্র এমন হওয়া যাবে না, যেখানে গায়রে মাহরামের সাথে ফ্রি মিক্সিং বা নির্জনতার পরিবেশ হয়ে যায় (ছহীহ বুখারী, হা/৩০০৬)। ৩. চাকরির ধরন এমন হতে হবে, যেটা নারীদের প্রকৃতি, গঠন, স্বভাব ও মেজাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, যেমন- চিকিৎসা, শিক্ষকতা ইত্যাদি। উল্লিখিত বিবরণ অনুযায়ী নারীদের জন্য পুলিশের চাকরি করা জায়েয নয়। কারণ এক্ষেত্রে উক্ত শর্তাবলি পালন করার পরিবেশ ও সুযোগ থাকে না। পাশাপাশি এই চাকরি নারীদের প্রকৃতি, গঠন ও মেজাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কারণ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিহাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধানকে নারীদের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ মনে করেননি (ছহীহ বুখারী, হা/১৫২০)। সামাজিকভাবে যদি মহিলাদের কোনো দায়িত্ব পালন বা তদারকির প্রয়োজন হয়, তাহলে মহিলাদের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ জায়গায় রেখে প্রয়োজনগুলো পূরণ করতে পারে। তবে পুলিশের পোশাকে পুলিশের ট্রেনিং এর মাধ্যমে তাদের চাকরি করা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জায়গায় মহিলাদের চাকরি করা জায়েয হবে না।

প্রশ্নকারী : সাদ খান

টাঙ্গাইল।



Magazine