উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র/স্বামী নির্বাচনে (ছেলেদের মত) মেয়েদেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে তারা অভিভাবকের মাধ্যমে বা তার অনুমতি সাপেক্ষে সৎ, চরিত্রবান ও দ্বীনদার ব্যক্তিকে স্বামী হিসাবে নির্বাচন করবে। আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যে ব্যক্তির দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছো তোমাদের নিকট সে ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সাথে বিয়ে দাও। তা যদি না করো তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে (তিরমিযী, হা/১০০৪)। ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ ‘সৎ লোকের কাছে কোনো নারীর নিজেই প্রস্তাব দেওয়া’ শীর্ষক পরিচ্ছেদ রচনা করেছেন (অধ্যায় ৭৬)। সাবিত আল-বুনানী রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে ছিলাম। তখন তার কাছে তার কন্যাও ছিলেন। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, একজন মহিলা নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর কন্যা বললেন, সে কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ! লজ্জার কথা। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, সে তোমার চেয়েও উত্তম। কেননা সে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে (ছহীহ বুখারী, হা/৪৭২৬)। সুতরাং মেয়েদের জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ছেলের দ্বীনদারী ও সৎ চরিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
-বিউটি আক্তার
মেডিকা ডায়াগোনিস্টিক সেন্টার, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর।
