কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১৯) : একজন ছেলে এক মেয়েকে আল্লাহর নামে কসম করে বলেছিল তাকেই বিবাহ করবে। পরবর্তীতে মেয়েটি দ্বীনদার নয় জানতে পেরে ছেলেটি তাকে বিবাহ করতে অসম্মতি প্রকাশ করে। এই কসমের কারণে কি ছেলেটির উপর মেয়েটিকে বিবাহ করা আবশ্যক?

উত্তরবিবাহের পূর্বে মেয়েদের সাথে সম্পর্ক রাখা হারাম। অবৈধ বিষয়ের ক্ষেত্রে কসম করলে সে কসম যেমন পূরণযোগ্য নয় তেমনি কোনো বৈধ বিষয়ের কসম করার পর যদি তার চেয়ে উত্তম কিছু পাওয়া যায় তাহলে, পূর্বের কসমকৃত বিষয়টি ছেড়ে দিয়ে উত্তমটি গ্রহণ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে কসম ভঙ্গের কারণে কাফফারা প্রদান করবে। ইমরান ইবনু হুসাইন রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘পাপের ব্যাপারে মানত করলে সে মানত পূরণ করতে নেই। আর বান্দা যার মালিক নয় সে বস্তুর মানতও পূরণযোগ্য নয়’। ইবনু হুজর রহিমাহুল্লাহ-এর বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহর নাফরমানীর বিষয়ে মানত সংঘটিত হয় না (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৪১; ইবনু মাজাহ, হা/২১২৫)। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোন বিষয়ে কসম করার পর অন্য বিষয় যদি তা থেকে ভাল দেখে তবে, সে তার কসমের কাফফারা দিয়ে দিবে এবং ঐ (উত্তম) কাজটি করবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৫)। যেহেতু মেয়ে দ্বীনদার নয় তা জানা গেছে তাই এই মেয়েকে বিবাহ করতে না চাইলে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিয়ে দ্বীনদার কোনো মেয়েকে বিবাহ করবে। কারণ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন মেয়েদের চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে বিবাহ করতে। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে শাদী করা হয়। তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। সুতরাং তুমি দীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে। অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৪৮০২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৬৬)।

প্রশ্নকারী : মো. মেহেদী হাসান

ঘোড়াশাল, পলাশ, নরসিংদী।


Magazine