উত্তর : এমতাবস্থায় বিষয়টিকে কিতাব ও সুন্নাহর দিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। অতঃপর দলীলের আলোকে যেটি অগ্রগণ্য হবে, সেটাকে গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘অতঃপর কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তাউপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান এনে থাক’ (আন-নিসা, ৫৯)। উল্লেখ্য, যদি নির্ভরযোগ্য আলেমদের বক্তব্য পরস্পর বিরোধী হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত বেশী বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও জ্ঞানী আলেমের বক্তব্য গ্রহণ করতে হবে। বিষয়টি ঠিক ঐ রোগীর মত, যে তার চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও জ্ঞানী ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। দুনিয়াবী বিষয়ে যদি এত বেশী সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, তাহলে দ্বীনী বিষয়ে আরো কত বেশী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত! (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ইবনু উছায়মীন, ২৬/৪৮১-৪৮৫ পৃ.; মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ইবনু বায, ২৪/৭১-৭২ পৃ.)। তবে এ ধরণের ইখতিলাফী মাসআলার সংখ্যা খুবই কম।