কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৮) : আমারস্বামী পর্তুগাল প্রবাসী। সে একটি রেস্তোরায় কাজ করে। সেখানে অন্য খাবারের পাশাপাশি শুকরের গোশত বিক্রি করা হয়। এমতাবস্থায় তার এই উপার্জন কি হালাল হবে? উল্লেখ্যযে, সেখানেসেঅন্যকোনোকাজপাচ্ছেনাএবংতারউপরঅনেকঋণরয়েছে।সেখানেকাজনাকরলেঅনাহারেথাকতেহবে।

উত্তরএমন রেস্টুরেন্টে কাজ করা জায়েয নয়। শুকরের গোশত সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্ত এবং যা গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে’ (আল-বাকারা, ২/১৭৩)। আর যে বস্তু খাওয়া-পান করা হারাম, তার ক্রয়-বিক্রয় এবং তাতে সহযোগিতা করাও হারাম। ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদ সম্পর্কে বলেন, إِنَّ الَّذِي حَرَّمَ شُرْبَهَا ‌حَرَّمَ ‌بَيْعَهَا ‘যিনি তা পান করা হারাম করেছেন তিনি তা বিক্রি করাও হারাম করেছেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৭৯)। তাই অনতিবিলম্বে সে চাকুরি ছেড়ে দিতে হবে। আল্লাহর জমিন প্রশস্ত। তার উপর যথাযথ তাওয়াক্কুল করে হারাম থেকে বিরত হলে অবশ্যই তিনি রিযিক্বের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি বলেন,وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا (٢) ‌وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিযিক্ব দেন, যা সে কল্পনাও করেনি। আর যে আল্লাহর উপর ভরসা করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান’ (আত-ত্বলাক, ৬৫/২-৩)।

প্রশ্নকারী : জান্নাতুল ফায়েজা

রেইসকোর্স, কুমিল্লা।


Magazine