কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৫) : একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটিতে কাজের সুযোগ রয়েছে। তারা বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও তাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশ শাখায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকেন্দ্রিক তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের অনলাইন (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ) ও অফলাইন প্রচারের জন্য তারা আমাকে নিতে চাচ্ছে। মূলত প্রচার কার্যক্রমের সব লেখা, ডকুমেন্ট- এগুলো তৈরি করা, এডিট করা, এসব কাজে নিয়োজিত সদস্যদের পরিচালনা করা, রোহিঙ্গাদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে প্রধান কাজ। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন; যিনি একজন ইহুদি ছিলেন। সংস্থাটির বর্তমান প্রধান ডেভিড মিলিব্যান্ড; তিনিও একজন ইহুদি এবং ইংল্যান্ডের রাজনীতিবিদ। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করা জায়েয হবে কি?

উত্তরঅমুসলিম সাহায্য সংস্থায় কাজ করা কিংবা তাদের সাহায্য গ্রহণ করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ব্যাপার। কেননা তারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কোনো মুসলিমকে সাহায্য করে না। বাহ্যত তারা মুসলিমদের সাহায্য করার কথা বললেও ভিতরে ভিতরে তাদের মিশনারী কার্যক্রম চালিয়ে যায়। সাহায্যের নামে তারা অসহায় গরীর-দুঃখী মুসলিমদের ঈমান হরণ করার ফন্দি আঁটতে থাকে। জনসচেতনতার নামে জন্মনিয়ন্ত্রণ, পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতির আকর্ষণসহ নানা রকম ইসলামী বিরোধী চিন্তা মুসলিমদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়। তাছাড়া অসহায় মুসলিমদের ডকুমেন্ট নিয়ে অমুসলিম দেশগুলোতে মুসলিমদের অসহায়ত্ব প্রচার করবে, যা অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করবে। তাছাড়া সাহায্যের আড়ালে মুসলিমদের ভিতরে তাদের গুপ্তচর ছড়িয়ে দিতে পারে। যারা মুসলিমদের মাঝে ধ্বংসাত্মক কাজ চালানোর চেষ্টা করে। অথবা এই অসহায় লোকগুলোকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কাজ করানোর ধান্ধায় থাকে। তাই এসব সংস্থায় কাজ করা থেকে বিরত থাকাই উচিত। কেননা তারা কখনোই মুসলিমদের বন্ধু নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না’ (আল মায়েদা, ৫/৫১)।

প্রশ্নকারী : শাহনেওয়াজ খান

পল্লবী, ঢাকা-ক্যান্ট, ঢাকা।


Magazine