কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৬) : জনৈক মুসলিম ব্যক্তি ইয়াহূদীর সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যায়। তিনি ইয়াহূদীর পক্ষে ফায়সালা দেন। মুসলিম ব্যক্তি রাসূলের ফায়সালা উপেক্ষা করে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে গেলে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু তাকে হত্যা করেন। উক্ত ঘটনা কি সঠিক?

উত্তর : প্রকৃত ঘটনা এই যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফুফাতো ভাই যুবায়ের রাযিয়াল্লাহু আনহু এবং বদরী ছাহাবী হাতেব ইবনু আবূ বালতাআহ আনছারীর মধ্যে নালা থেকে ক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে ঝগড়া হয়। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়ের রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর পক্ষে রায় দেন। কেননা তার জমি ছিল উঁচুতে এবং বিবাদীর জমিটি ছিল নিচুতে। তাই উপরের ক্ষেতে পানি না দিয়ে নিচের ক্ষেতে আগে পানি চালু করা সম্ভব ছিল না। তাতে বিবাদী নাখোশ হয়ে বলেন যে, যুবায়ের আপনার ফুফাতো ভাই হওয়ার কারণে আপনি তার পক্ষে রায় দিলেন। এতে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা লাল হয়ে যায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সূরা আন-নিসার ৬৫ নং আয়াতটি নাযিল হয় (ছহীহ বুখারী, হা/৪৫৮৫ ও অন্যান্য, তাফসীর ইবনু কাছীর)। প্রশ্নে উল্লেখিত উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর ঘটনাটি এবং এর কারণে উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে ‘ফারূক’ উপাধি দেওয়া হয় বলে কালবী সূত্রে আবূ ছালেহ ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে যে বর্ণনা এসেছে, যা যঈফ এবং গারীব (غريب)। কালবী ‘মিথ্যুক’ বলে অভিযুক্ত (তাহক্বীক্ব কুরতুবী, হা/২২৯৮ ও ২২৯৯-এর টীকা দ্র.; ইবনু কাছীর একে ‘অতীব বিস্ময়কর’ বলেছেন)।

প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ

জয়দেপপুর, গাজীপুর।


Magazine