উত্তর: গারে ছাওরে মাকড়সার জাল বুনানোর ঘটনাটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে (মুসনাদে আহমাদ, হা/৩২৫১; ফাতহুল বারী, ইবনু হাজার, ৭/২৩৬; মিশকাত, হা/৫৯৩৪)। এই হাদীছটিকে হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী ও হাফেয ইবনু কাছীর q হাসান বলেছেন। অন্যদিকে ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহ যঈফ বলেছেন। গুহার মুখে কবুতরের ডিম পাড়ার কথা ইমাম হায়ছামী রহিমাহুল্লাহ মাজমাউয যাওয়ায়েদে (হা/৫৪১৯) এবং ইমাম বাযযযার রহিমাহুল্লাহ মুসনাদে বাযযারে (হা/৪৩৪৪) নিয়ে এসেছেন। কিন্তু উভয়ে সনদে মুছআব আল-মাক্কী রয়েছেন। তিনি মাজহূল (অপরিচিত) রাবী । আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু-কে সাপে দংশন করার ঘটনাটি ইমাম বায়হাক্বী (দালায়িলুন নবুওয়াহ, ২/৪৭৭), আল্লামা সামারক্বান্দী রহিমাহুল্লাহ (বাহরুল মুহীত, ২/৫৯) সহ অনেক বিদ্বান বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কোনো বিবরণই ছহীহ নয়। শায়খ মাশহূর সালমান রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘এর সনদ খুবই দুর্বল’। শায়খ সাঊদ আল-খালাফ রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘এর সনদ দুর্বল’। এ কারণে ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো! গুহা মুখে মাকড়সার জাল ও দুই কবুতর সম্পর্কে কোনো ছহীহ বর্ণনা নেই...’ (সিলসিলা যঈফা, ৩/৩৩৯, হা/১১৮৯)। সঠিক কথা হলো, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু-কে আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে হেফাযত করেছেন। এজন্যই আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু যখন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, তাদের কেউ পায়ের দিকে তাকালেই তো আমাদের দেখে ফেলবে? রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ বকর! ঐ দুজনের সম্পর্কে তোমার কী ধারণা, যাদের তৃতীয়জন হলেন আল্লাহ? (ছহীহ বুখারী, হা/৩৬৫৩)। বুঝা যাচ্ছে, তাদের দেখতে পাওয়ার মাঝের প্রতিবন্ধকতা দৃশ্যমান কিছু ছিল না। বরং আল্লাহর অনুগ্রহই ছিল তাদের মাঝের প্রতিবন্ধকতা।
প্রশ্নকারী : মো. ফাবিয়ান হোসেন
ঠাকুরগাঁও।