উত্তর: আল্লাহ তাআলা নিজেকে নিজে এবং রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহকে যে সকল গুণের সাথে গুণান্বিত করেছে তার বাহিরে কোনো গুণ বর্ণনা করা ও এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা নিষেধ। কেননা আল্লাহর জানানো ছাড়া মাখলুক আল্লাহ সম্পর্কে জানতে পারে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সে বিষয়ের পেছনে ছুটো না, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই’ (আল-ইসরা, ১৭/৩৬)। আর মানুষকে ইমানহারা করার জন্য শয়তান এ সকল প্রশ্ন মানুষের অন্তরে ঢেলে দেয়। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ‘সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের নিকট শয়তান এসে বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? এটা কে সৃষ্টি করেছে? এটা কে সৃষ্টি করেছে? শেষে সে বলে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? অতএব যখন সে এ স্থানে পৌঁছে যাবে, তখন আল্লাহর নিকটে আশ্রয় চায়বে এবং এ ধরনের চিন্তা করা থেকে বিরত থাকবে’ )ছহীহ বুখারী, হা/৩২৭৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৪(। আনাস ইবনু মালেক রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ‘সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষরা সর্বদায় জিজ্ঞাসা করবে এবং বলবে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? এটা কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলবে, আল্লাহ তো মানুষের স্রষ্টা। তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? এসময় তারা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে’) ছহীহ বুখারী, হা/৭২৯৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৪(। উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ ‘রূহ’ শব্দটিকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে বলেছেন, তা মূলত জিনিসগুলোর সম্মান ও মর্যাদা বুঝানোর জন্য বলেছেন। আর সম্পৃক্ত করলেই বিষয়টি আল্লাহর সিফাত হয়ে যায় না। বরং অনেক সময় নাও হতে পারে। যেমন আল্লাহ কা‘বাকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে বলেছেন, বায়তুল্লাহ ‘আল্লাহরঘর’ উঁটকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে বলেছেন, নাক্বাতুল্লাহ ‘আল্লাহরউঁট’ বান্দাকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে বলেছেন, ইবাদুর রহমান ‘রহমানেরবান্দা’ কিন্তু এগুলোকে তো আল্লাহর গুণাবলি বলা যাবে না। তবে তার দিকে তার কোনো নিজস্ব গুণাবলিকে সম্পৃক্ত করলে অবশ্য তা তার গুণাবলি হিসাবে গণ্য হবে। যেমন: ইয়াদুল্লাহ আল্লাহর হাত, ইলমুল্লাহ আল্লাহর প্রজ্ঞা, কালামুল্লাহ আল্লাহর কথা ইত্যাদি। তাই আল্লাহর রূহ আছে কি না? এমন প্রশ্ন না করাই উচিত।
প্রশ্নকারী : ইলিয়াস, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।