কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৭) : কোনো নারীকে যদি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার কোনো অভিভাবক খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে ঐ নারীকে আমরা কাফন-দাফন ও জানাযা পড়ে কবরস্থ করব না-কি আগুনে পুড়িয়ে কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলব? কেননা নারী হওয়ার কারণে মুসলিম না-কি অমুসলিম আমরা বুঝতে পারছি না।

উত্তর : অজ্ঞাত লাশের মধ্যে যদি কুফুরের লক্ষণ থাকে, যেমন: ক্রুশ, সিঁদুর, শাঁখা, ধুতি ও নিদির্ষ্ট ধর্মীয় পোষাক; তাহলে তাকে বিধর্মী গণ্য করে কাফন-দাফন ছাড়া মাটিতে পুঁতে দিবে। কেননা কাফেরের জানাযা পড়া ও তার জন্য দু’আ করা জায়েয নয়। এ জন্যই আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ চাচা আবূ তালেবের মৃত্যুর পর তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন। আলী রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললাম, আপনার বৃদ্ধ পথভ্রষ্ট চাচা মৃত্যুবরণ করেছেন, এখন কে তাকে দাফন করবে? তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তোমার পিতাকে ঢেকে রাখো এবং তুমি আমার কাছে না আসা পর্যন্ত অন্য কিছু করবে না। অতঃপর আমি তাকে ঢেকে দিলাম। এরপর তার কাছে আাসলাম। আমাকে নির্দেশ দেওয়ায় আমি গোসল করলাম এবং তিনি আমার জন্য দোয়া করলেন (আবূ দাউদ, হা/৩২১৪)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে যে মারা গিয়েছে, তার উপর তুমি জানাযা পড়বে না এবং তার কবরের উপর দাঁড়াবে না। নিশ্চয় তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করেছে এবং তারা ফাসিক অবস্থায় মারা গিয়েছে’ (আত-তওবা, ৯/৮৫)। আর যদি এমন প্রকাশ্য কোনো লক্ষণ পাওয়া না যায়, তাহলে তাকে সে দেশ বা শহরের মানুষের ধর্মের মানুষ গণ্য করে দাফন করবে। সুতরাং বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট এবং অমুসলিম হওয়ার কোনো নিদর্শন নেই, তাই এমন নারী পাওয়া গেলে তাকে মুসলিম গণ্য করে কাফন-দাফন ও জানাযা পড়ে কবরস্থ করবে (লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ, ২১/৩২ পৃ.)।

প্রশ্নকারী : আব্দুস সামাদ

দুর্গাপুর, রাজশাহী।


Magazine