উত্তর : কুরআন এবং ছহীহ হাদীছ দ্বারা ছোঁয়াচে রোগ প্রমাণিত নয়। এমর্মে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (১) আনাস রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সংক্রামক ব্যধি ও অশুভ লক্ষণ বলতে কিছু নেই। তবে শুভ লক্ষণ মানা আমার নিকট পছন্দনীয়। লোকেরা বলল, শুভ লক্ষণ কী? তিনি বললেন, উত্তম বাক্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৭৬)। (২) আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, ‘এক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উটের পাল অনেক সময় মরুভূমির চারণ ভূমিতে থাকে, মনে হয় যেন নাদুস-নুদুস জঙ্গলী হরিণ। অতঃপর সেখানে কোনো একটি চর্মরোগে আক্রান্ত উট এসে আমার সুস্থ উটগুলোর সাথে থেকে এদেরকেও চর্মরোগী বানিয়ে দেয়। তিনি বললেন, তাহলে প্রথম উটটির রোগ সৃষ্টি করলো কে? (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭১৭)। (৩) রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রোগের কোনো সংক্রমণ নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসেও কোনো অশুভ নেই। কুষ্ঠরোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭০৭)। (৪) আমর ইবনু শারীদ তার পিতার বরাদ দিয়ে বলেন, ‘ছাক্বীফ গোত্রীয় প্রতিনিধি দলের মাঝে একজন কুষ্ঠরোগী ছিলেন। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে (সংবাদ) পাঠালেন যে, আমরা তোমাকে বায়’আত করে নিয়েছি। তুমি ফিরে যাও’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৩১)। (৫) রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোগাক্রান্ত উটকে সুস্থ উটের সাথে রেখো না। অবশ্য সুস্থ উটকে যেখানে ইচ্ছা রাখতে পার। এরপর তাকে জিঙ্গাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! এমনটি কেন করা হবে? তিনি বললেন, কারণ তা ক্ষতিকর’ (মুয়াত্ত্বা মালেক, ৫/১৩৮১)।
উল্লেখ্য যে, যে সকল হাদীছের বাহ্যিক অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, সংক্রমণ রোগ আছে। মূলত তা সংক্রমণ রোগ নয়। বরং ইসলামের সঠিক বিশ্বাস হচ্ছে- কোনো রোগ নিজস্ব ক্ষমতায় অপরের মাঝে সংক্রমণ হতে পারে না। বরং তাক্বদীরে থাকলে আল্লাহর ইচ্ছায় তা অপরের মাঝে সংক্রমণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ রোগ সংক্রমণ হয় না বরং আল্লাহ চাইলে তা অপরের মাঝে ছড়ায়।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহিল কাফী
মালোশিয়া।