কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৩) : জীনে ধরা ব্যক্তির চিকিৎসা করার শারঈ মাধ্যমগুলো কী?

উত্তর : জীনে ধরা ব্যক্তির চিকিৎসা ও জীনের ক্ষতি হতে বাঁচার জন্য রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শেখানো সুন্নাহ পদ্ধতিতে আমল করতে হবে এবং শেখানো দু’আগুলো পাঠ করতে হবে, তাহলে জীনের ক্ষতি হতে মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশা-আল্লাহ। ১. রাত্রে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সকাল পর্যন্ত শয়তানের অনিষ্ঠতা হতে রক্ষা করবেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১; তিরমিযী, হা/২৮৮০; মিশকাত, হা/২১২০)। ২. সূরা ইখলাছ ও সূরা নাস বেশি বেশি পাঠ এবং প্রয়োজনে শরীরে ফুঁক দেওয়া (তিরমিযী, হা/২০৫৮; মিশকাত, হা/৪৫৬৩)। ৩. সূরা ফাতেহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করা। ৪. বাড়িতে নিয়মিত সূরা বাক্বারা তেলাওয়াত করা। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের বাড়িগুলোকে কবরস্থানে পরিণত করিওনা। নিশ্চয় ঐ বাড়ি হতে শয়তান পলায়ন করে, যে বাড়িতে সূরা বাক্বারা তেলাওয়াত করা হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭৮০; মিশকাত, হা/২১১৯)। ৫. প্রতি রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য তা যথেষ্ট হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৪০০৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৭)। ৬. প্রতি দিন একশতবার নিম্নোক্ত দু‘আটি পাঠ করা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দু‘আটি প্রতিদিন একশতবার পাঠ করবে আল্লাহ তাকে একশত অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা করবেন এবং শয়তান হতে রক্ষা করবেন’। : مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ ، وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ . (ছহীহ বুখারী, হা/৩২৩৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯১)। এছাড়াও শিরক নেই এমন জিনিস দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা যায়। আউফ ইবনু মালেক আল-আশজাঈ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা জাহিলী যুগে ঝাড়ফুঁক করতাম। অতঃপর আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? তিনি বলেন, ‘তোমাদের ঝাড়ফুঁকের বাক্যগুলো আমার সামনে পেশ করো; তবে যেসব ঝাড়ফুঁক শির্কের পর্যায়ে পড়ে না, তাতে কোনো দোষ নেই’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২০০; মিশকাত, হা/৪৫৩০)।

প্রশ্নকারী : নাঈম ইসলাম

দুপচাচিয়া, বগুড়া।


Magazine