ভূমিকা :
الْحَمْدُ لِلَّهِ، نَحْمَدُهُ، وَنَسْتَعِينُهُ، وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا، وَ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا، مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، صَلَّ اللَّهُ عَلَيْهِ وَعلَى ألِهِ، وَأصْحَابِهِ وَمَنْ تَبِعَهُمْ بِإِحْسَانٍ إِلَى يَوْمِ الدِّيْنِ، وَسَلِّمَ تَسْلِيْمًا كَثِيْرًا، أما بعد:
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। তাঁর কাছে স্বীয় কু-প্রবৃত্তি ও অসৎ কর্মের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়াত দান করেন, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে কেউ হেদায়াত দান করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআলা ব্যতীত সত্য কোনো মা‘বূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। ছালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর পরিবারবর্গ, ছাহাবায়ে কেরাম এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত আগত তাঁর সকল অনুসারীর উপর।
ثواب القرب (ছাওয়াবুল কুরাব)-এর শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ :
শাব্দিক অর্থ : ثواب (ছাওয়াব), المثوبة এবং المثابة অর্থ— প্রতিদান, আনুগত্যের প্রতিদান, সৎ আমলের ছওয়াব।[1] আল্লাহ বলেন, وَلَوْأَنَّهُمْ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَمَثُوبَةٌ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ خَيْرٌ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ‘আর তারা যদি ঈমান আনত এবং মুত্তাক্বী হতো, তবে আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠতর প্রতিফল ছিল, যদি তারা জানত’ (আল-বাক্বারা, ২/১০৩)। ইবনুল আছীর রহিমাহুল্লাহ বলেন, (الثواب) শব্দটি أثاب -يثيب - إثابة এভাবে (ইলমুছ ছরফে বাবে إفعال থেকে) ব্যবহার হয়। الثواب শব্দটি বিশেষ্য। যা ভালো-মন্দ দু’টি ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়। তবে উক্ত শব্দটি ভালো ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ও অধিক হারে ব্যবহার হয়।[2]
পারিভাষিক অর্থ : সৎ আমলের প্রতিদানকে الثواب বলা হয়। الثواب মানেই হলো الأجر অর্থাৎ প্রতিদান।
القرب (কুরাব)-এর শাব্দিক অর্থ : قُرَبٌ বহুবচন। এর আরেকটি বহুবচন হলো قُرُبَاتٌ। একবচন হলো قُرْبَةٌ। আর قربان শব্দটি একবচন। এর বহুবচন হলো قرابين। যেসব সৎকাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করা যায়, তা-ই হচ্ছে। যেমন- তুমি বলবে, আমি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য কুরবানী করলাম। কোনো কিছুর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য বা সান্নিধ্য লাভ করাই হলো আল্লাহর কাছে সান্নিধ্য অনুসন্ধান করা।
পারিভাষিক অর্থ : যে সমস্ত আনুগত্যময় এবং সৎ আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়, তাকে القرب বলা হয়।[3] আল্লাহ তাআলা বলেন,وَمِنَ الْأَعْرَابِ مَنْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنْفِقُ قُرُبَاتٍ عِنْدَ اللَّهِ وَصَلَوَاتِ الرَّسُولِ أَلَا إِنَّهَا قُرْبَةٌ لَهُمْ سَيُدْخِلُهُمُ اللَّهُ فِي رَحْمَتِهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ ‘কতক বেদুঈন আল্লাহকে ও শেষ দিবসে বিশ্বাস করে আর তারা যা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাকে তারা আল্লাহর নৈকট্য ও রাসূলের দু‘আ লাভের মাধ্যম মনে করে; সত্যিই তা তাদের (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের মাধ্যম; অচিরেই আল্লাহ তাদেরকে তাঁর রহমতের মধ্যে প্রবিষ্ট করবেন; অবশ্যই আল্লাহ অতিক্ষমাশীল, অতিদয়ালু’ (আত-তওবা, ৯/৯৯)।
যেসব আমলের ছওয়াব মৃত ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে:
মৃত ব্যক্তির নিকট এমন সব আমলের ছওয়াব পৌঁছে, যে আমলগুলো মৃতব্যক্তি তার জীবদ্দশায় ঘটিয়েছে। দলীল—
১ম দলীল : আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ ‘যখন কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করে, তখন তিনটি আমল ছাড়া (তার নিকট) সকল প্রকার আমলের ছওয়াব যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ছাদাক্বা জারিয়া, এমন জ্ঞান রেখে যাওয়া, যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং এমন সৎসন্তান, যে তার জন্য দু‘আ করবে’।[4]
২য় দলীল : আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,إِنَّ مِمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِهِ وَحَسَنَاتِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ عِلْمًا عَلَّمَهُ وَنَشَرَهُ وَوَلَدًا صَالِحًا تَرَكَهُ وَمُصْحَفًا وَرَّثَهُ أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لِابْنِ السَّبِيلِ بَنَاهُ أَوْ نَهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أَخْرَجَهَا مِنْ مَالِهِ فِي صِحَّتِهِ وَحَيَاتِهِ يَلْحَقُهُ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ ‘ঈমানদার ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার যেসব আমল এবং তাঁর যেসব (পুণ্য) নেকী তার সাথে যুক্ত হয় তা হলো— যে ইলম (জ্ঞান) অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে এবং তার প্রচার করেছে, তার রেখে যাওয়া সৎ সন্তান, কুরআন যা সে ওয়ারিছী সূত্রে রেখে গেছে অথবা মসজিদ, যা সে নির্মাণ করেছে অথবা মুসাফিরদের জন্য সরাইখানা নির্মাণ করেছে অথবা পানির কূপ যা সে খনন করেছে অথবা তার জীবদ্দশায় ও সুস্থাবস্থায় তার সম্পদ থেকে দান করেছে তা তার মৃত্যুর পরও তার সাথে (তার আমলনামায়) যুক্ত হবে’।[5]
৩য় দলীল : মুআয ইবনু আনাস রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ عَلَّمَ عِلْمًا فَلَهُ أَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الْعَامِلِ ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান শিক্ষা দেয়, সে তদনুসারে আমলকারীর সমান প্রতিদান পাবে; এতে আমলকারীর প্রতিদানে কোনোরূপ ঘাটতি হবে না’।[6]
৪র্থ দলীল : সাহল ইবনু সা‘দ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের দিনে আলী রযিয়াল্লাহু আনহু-কে বলেন,...فَوَاللَّهِ لأَنْ يُهْدَى بِكَ رَجُلٌ وَاحِدٌ خَيْرٌ لَكَ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ ‘...আল্লাহর কসম! যদি একজন ব্যক্তিও তোমার দ্বারা হেদায়াত লাভ করে, তবে তা তোমার জন্য লাল রঙের উটের চেয়েও উত্তম’।[7]
উক্ত হাদীছটি মানুষকে কল্যাণময় কিছু শিক্ষা দেওয়ার এবং তাদের মাঝে জ্ঞান প্রসারের গুরুত্ব বর্ণনা করে। ইমাম খাত্বাবী রহিমাহুল্লাহ উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন,لأن يهدي الله بك رجلا واحدا خير لك أجرا وثوابا من أن يكون لك حمر النعم فتتصدق بها ‘তোমার লাল উট থাকা এবং তা ছাদাক্বা করার থেকে আল্লাহ তোমার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে হেদায়াত করলে তা তোমার জন্য ছওয়াব এবং প্রতিদানের দিক থেকে অধিক উত্তম হবে’।[8]
কুরতুবী, উব্বী এবং সানূসী রহিমাহুমুল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত হাদীছটিতে জ্ঞানার্জন করার, তা মানুষের মাঝে বিস্তার করার এবং ওয়ায-নছীহত করার প্রতি অনেক উৎসাহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তিকে জ্ঞান (ইলম) শিক্ষা দেওয়ার এবং সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা দেওয়ার ছওয়াব, অধিক মূল্যবান একটি উট ছাদাক্বা করার ছওয়াবের থেকে অধিক উত্তম। কেননা, দান-ছাদাক্বা করার ছওয়াবের ধারা মৃত্যুর পরে বন্ধ হয়ে যাবে। আর ইলম (জ্ঞান) শিক্ষা দেওয়া এবং (সৎ পথের) দিক-নির্দেশনার ছওয়াবের ধারা ক্বিয়ামত দিবস পর্যন্ত বন্ধ হবে না’।[9]
৫ম দলীল : আবূ মাসঊদ আনছারী রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ ‘যে ব্যক্তি কাউকে কল্যাণের দিকে পথ দেখায়, সেও এর বিনিময়ে ছওয়াব পাবে যতটুকু ছওয়াব কল্যাণকারী লোকটি পাবে’।[10]
৬ষ্ঠ দলীল : জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا وَلَا يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْءٌ وَمَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كُتِبَ عَلَيْهِ مِثْلُ وِزْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا وَلَا يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْءٌ ‘যে ব্যক্তি ইসলামে কোনো সুন্দর নীতি চালু করল এবং পরবর্তীকালে সে অনুসারে আমল করা হলো, তাহলে আমলকারীর প্রতিদানের সমান প্রতিদান তার জন্য লিখিত হবে। এতে তাদের প্রতিদানে কোনো ঘাটতি হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোনো অশুভ নীতি (বিদআত) চালু করল এবং তার পরে সে অনুযায়ী আমল করা হলো, তাহলে ঐ আমলকারীর খারাপ প্রতিদানের সমান গুনাহ তার জন্য লিখিত হবে’।[11]
৭ম দলীল : আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنْ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا ‘যে ব্যক্তি সঠিক পথের দিকে আহ্বান করে, তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। আর যে ব্যক্তি বিভ্রান্তির দিকে আহ্বান করে, তার উপর সে পথের অনুসারীদের পাপের অনুরূপ পাপ বর্তাবে। এতে তাদের পাপরাশি সামান্য হালকা হবে না’।[12]
(চলবে)
মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী রহিমাহুল্লাহ
অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
[1]. মুখতারুছ ছিহাহ, পৃ. ৩৮, ২২; মিছবাহুল মুনীর, ১/৮৬।
[2]. নিহায়াহ ফী গারীবিল হাদীছ, ১/২২৭।
[3]. মিছবাহুল মুনীর, ২/৪৯৫; সা‘দী আবূ জীব, আল-ক্বামূসুল ফিক্বহী, পৃ. ২৯৮; লুগাতুল ফুক্বাহাআ, পৃ. ১৩৫।
[4]. ছহীহ মুসলিম, ‘অছিয়ত’ অধ্যায়, ‘মানুষের মৃত্যুর পর যে সকল আমলের ছওয়াব তার কাছে পৌঁছে’ অনুচ্ছেদ, হা/১৬৩১; মিশকাত, হা/২০৩।
[5]. ইবনু মাজাহ, ‘মুক্বাদ্দামা’ ‘মানুষকে উত্তম বিষয় শিক্ষাদাতার ছওয়াব’ অনুচ্ছেদ, হা/২৪২, আলবানী রহিমাহুল্লাহ ছহীহ সুনানে ইবনু মাজাহ (২/৯৮)-তে হাদীছটিকে হাসান বলেছেন; ইরওয়াউল গালীল, ৬/২৯; মিশকাত, হা/২৫৪।
[6]. ইবনু মাজাহ, ‘মুক্বাদ্দামা’ ‘মানুষকে উত্তম বিষয় শিক্ষাদাতার ছওয়াব’ অনুচ্ছেদ, হা/২৪০, আলবানী রহিমাহুল্লাহ ছহীহ সুনানে ইবনু মাজাহ (২/৯৭)-তে হাদীছটিকে হাসান বলেছেন।
[7]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ; ছহীহ বুখারী, ‘জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার-ব্যবহার’ অধ্যায়, ‘ইসলাম ও নবুঅতের দিকে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আহ্বান আর মানুষ যেন আল্লাহ ব্যতীত তাদের পরস্পরকে রব হিসেবে গ্রহণ না করে’ অনুচ্ছেদ, হা/২৯৪২, দেখুন; হা/৩০০৯, ৩৭০১, ৪২১০; ছহীহ মুসলিম, ‘ছাহাবায়ে কেরাম n-এর ফযীলত’ অধ্যায়, ‘আলী রযিয়াল্লাহু আনহু-এর ফযীলত’ অনুচ্ছেদ, হা/২৪০৬।
[8]. আ‘লামুল হাদীছ ফী শরহে ছহীহিল বুখারী, ২/১৪০৮।
[9]. কুরতুবী, আল-মাফহূমু লিমা আশকালা মিন তালখীছু কিতাবু মুসলিম, ৬/২৭৬; স্বীয় পিতা, ইকমালু ইকমালুল মুআল্লিম, ৮/২৩১; সানাসী, মুকাম্মালু ইকমালুল ইকমাল, ৮/২৩১।
[10]. ছহীহ মুসলিম, ‘নেতৃত্ব’ অধ্যায়, ‘আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদগণকে বাহন ও অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করা এবং তাঁদের পরিবারবর্গের দেখাশুনা করার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ, ৩/১৫০৬, হা/১৮৯৩; মিশকাত, হা/২০৯, আবূ মাসঊদ আনছারী রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ।
[11]. ছহীহ মুসলিম, ‘ইলম’ অধ্যায়, ‘যে ব্যক্তি ইসলামে সুন্দর নীতি অথবা মন্দ নীতি চালু করে এবং যে ব্যক্তি সঠিক পথের দিকে আহ্বান অথবা বিভ্রান্তের দিকে আহ্বান করে’ অনুচ্ছেদ, ৪/২০৫৯, হা/১০১৭, জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ।
[12]. ছহীহ মুসলিম, ‘ইলম’ অধ্যায়, ‘যে ব্যক্তি ইসলামে সুন্দর নীতি অথবা মন্দ নীতি চালু করে এবং যে ব্যক্তি সঠিক পথের দিকে আহ্বান অথবা বিভ্রান্তের দিকে আহ্বান করে’ অনুচ্ছেদ, ৪/২০৬০, হা/২৬৭৪।