মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মি‘রাজ ইসলামের ইতিহাসে এক অলৌকিক ঘটনা। মি‘রাজ যে ঘটেছিল তা সত্য এবং তা আমরা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ হতে সুস্পষ্টভাবে জানতে পারি। ইসলাম ধর্মে মি‘রাজ দিবস কিংবা শবে মি‘রাজ উদযাপন করা রজব মাসের অন্যতম একটি বিদআত। কিছু অজ্ঞ শ্রেণির মানুষ এই বিদআতকে ইসলামের উপর চাপিয়ে দিয়ে প্রতি বছর তা পালন করছে। এরা রজব মাসের ২৭ তারিখকে শবে মি‘রাজ পালনের জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে এরা একটি নয়; একাধিক বিদআত তৈরি করেছে। যেমন- মসজিদে মসজিদে একত্রিত হওয়া, মসজিদে কিংবা মসজিদের মিনারে মিনারে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালানো এবং কুরআন তিলাওয়াত বা যিকিরের জন্য একত্রিত হওয়া ইত্যাদি। মি‘রাজ দিবস উপলক্ষ্যে ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন পীর-বুযুর্গের খানকা ও মাজারে এবং ভণ্ড বা ভ্রান্ত পীরদের দরবারে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। এগুলো সবই গোমরাহী এবং বাতিল কর্মকাণ্ড। এ প্রসঙ্গে কুরআন-সুন্নাহতে কোন ধরণের কোন প্রামাণ বর্ণিত হয়নি। তবে এভাবে দিবস পালন না করে যে কোনো সময় মি‘রাজের ঘটনা বা শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করা মোটেও দোষণীয় নয়।
প্রথমেই আমাদের মোটামুটি একটা ধারণা থাকা দরকার, কোন্ রাতে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইসরা ও মি‘রাজ সংঘটিত হয়েছিল?
যে রাতে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইসরা ও মি‘রাজ সংঘটিত হয়েছিল, সেটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বহুকাল থেকেই ওলামায়ে কেরামের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো হাদীছ না থাকায় আলেমগণ বিভিন্নজন ভিন্ন ভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন।
ইবনে হাজার আসক্বালানী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন, মি‘রাজের সময় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেছেন, নবুঅতের আগে। কিন্তু এটা একটি অপ্রচলিত অভিমত। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মত হলো, তা হয়েছিল নবুঅতের পরে। তবে নবুঅতের পরে কখন হয়েছিল সেটা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
কিন্তু তার এ মত অগ্রহণযোগ্য। কারণ এটা সর্বসম্মত মত নয়। বরং এক্ষেত্রে প্রচুর মতবিরোধ রয়েছে এবং এ প্রসঙ্গে ২০টির অধিক মত পাওয়া যায়।
ইবনুল জাওযী রহিমাহুল্লাহ বলেন, হিজরতের আট মাস আগে মি‘রাজ হয়েছিল। এ মতানুসারে সেটা ছিল রজব মাসে।
আবুর রাবী ইবনে সালেম রহিমাহুল্লাহ বলেন, হিজরতের ছয় মাস আগে। এ মত অনুযায়ী সেটা ছিল রামাযানে।
ইবরাহীম আল-হারবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, হিজরতের এগারো মাস আগে। তিনি আরও বলেন, হিজরতের এক বছর আগে রবীউছ ছানীতে মি‘রাজ সংঘটিত হয়।
ইবনে ফারিস রহিমাহুল্লাহ এর মতে, হিজরতের এক বছর তিন মাস আগে।
এভাবে আরও অনেক মতামত পাওয়া যায়। কোনো মতে রবীউল আওয়াল মাসে, কোনো মতে শাওয়াল মাসে, কোনো মতে রামাযান মাসে আর কোনো মতে রজব মাসে।
আর শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন, ইবনে রজব রহিমাহুল্লাহ-এর মতে, রজব মাসে বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে মর্মে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়, কিন্তু কোনোটির পক্ষেই ছহীহ দলীল নেই। বর্ণিত আছে যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজবের প্রথম রাতে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, ২৭ বা ২৫ তারিখে নবুঅত প্রাপ্ত হয়েছেন অথচ এসব ব্যাপারে কোনো ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না।[1]
আবু শামাহ রহিমাহুল্লাহ-এর মতে, গল্পকারেরা বলে থাকেন যে, ইসরা ও মি‘রাজের ঘটনা ঘটেছিল রজব মাসে। কিন্তু ইলমুল জারহ ওয়াত তা‘দীল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ আলেমগণের মতে, এটা ডাহা মিথ্যা।[2]
শবে মি‘রাজ পালন করার বিধান :
সালাফে ছালেহীন এ মর্মে একমত পোষণ করেছেন যে, ইসলামী শরীআত অনুমোদিত দিন ছাড়া অন্য কোনো দিবস উদযাপন করা বা আনন্দ-উৎসব পালন করা বিদআত। কারণ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ أَحْدَثَ فِي دِينِنَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ ‘যে ব্যক্তি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন নতুন জিনিস চালু করল তা পরিত্যাজ্য’।[3] আর ছহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে,مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا ، فَهْوَ رَدٌّ ‘যে ব্যক্তি এমন আমল করল যার ব্যাপারে আমার নির্দেশনা নেই তা প্রত্যাখ্যাত’।[4]
সুতরাং মি‘রাজ দিবস অথবা শবে মি‘রাজ পালন করা দ্বীনের মধ্যে নব্যসৃষ্ট বিষয় (বিদআত), যা ছাহাবী-তাবেঈ বা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণকারী সালাফে ছালেহীন কর্তৃক পালিত হয়নি। অথচ সকল ভালো কাজে তারা ছিলেন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী। ইবনুল ক্বাইয়িম রহিমাহুল্লাহ বলেন, ইবনে তায়মিয়া রহিমাহুল্লাহ-এর মতে, পূর্ববর্তী যুগে এমন কোনো মুসলিম পাওয়া যাবে না, যে শবে মি‘রাজকে অন্য কোনো রাতের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। বিশেষ করে শবে ক্বদরের চেয়ে উত্তম মনে করেছে এমন কেউ ছিল না। ছাহাবায়ে কেরাম এবং তাদের একনিষ্ঠ অনুগামী তাবেঈগণ এ রাতকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো আচার-অনুষ্ঠান করতেন না, এমনকি এটিকে আলাদাভাবে স্মরণও করতেন না। যার কারণে জানাও যায় না যে, সে রাতটি কোনটি। নিঃসন্দেহে ইসরা ও মি‘রাজ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার প্রমাণ বহন করে। কিন্তু এজন্য এ মি‘রাজের ঘটনা বা কালকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো ইবাদত করা বৈধ নয়। এমনকি যে হেরা পর্বতে অহির সূচনা হয়েছিল এবং নবুঅতের আগে যেখানে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত ধ্যাণ করেছিলেন, নবুঅত লাভের পর মক্কায় অবস্থানকালে তিনি কিংবা তাঁর কোনো ছাহাবী সেখানে কোনো দিন যাননি। তারা অহি নাযিলের দিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো ইবাদত-বন্দেগী করেননি বা সেই স্থান বা দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কিছুই করেননি। যারা এ জাতীয় দিন বা সময়ে বিশেষ কিছু ইবাদত করতে চায় তারা ঐ আহলে কিতাবদের মতো, যারা ঈসা আলাইহিস সালাম-এর জন্মদিবস (Christmas) বা তাদের দীক্ষাদান অনুষ্ঠান (Baptism) ইত্যাদি পালন করে।
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রযিয়াল্লাহু আনহু দেখলেন, কিছু লোক একটা জায়গায় ছালাত আদায়ের জন্য হুড়োহুড়ি করছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কী? তাঁরা বললেন, এখানে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছালাত আদায় করেছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি তোমাদের নবীদের স্মৃতির স্থানগুলোকে সিজদার স্থান বানাতে চাও? তোমাদের পূর্ববর্তী যামানার লোকেরা এসবের কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে। এখানে এসে যদি তোমাদের কারও ছালাতের সময় হয়, তবে সে যেন ছালাত আদায় করে অন্যথা সামনে অগ্রসর হয়।[5]
ইবনুল হাজ্জ রহিমাহুল্লাহ বলেন, রজব মাসে যে সকল বিদআত আবিষ্কৃত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ২৭ তারিখের লায়লাতুল মি‘রাজের রাত অন্যতম।[6]
রজব মাসে নফল ছালাত আদায়, ছিয়াম পালন করা, মসজিদ, ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, দোকান-পাট ইত্যাদি সাজানো বা আলোকসজ্জা করা কিংবা ২৬ তারিখ দিবাগত রাত তথা ২৭শে রজবকে শবে মি‘রাজ নির্ধারণ করে রাত জেগে ইবাদত করার ব্যাপারে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই। তাই আমাদের কর্তব্য হবে, এগুলো থেকে দূরে থাকা। অন্যথা আমরা বিদআতি হিসেবে আল্লাহ তাআলার দরবারে গুনাহগার সাব্যস্ত হব। অবশ্য কোনো ব্যক্তি যদি প্রতি মাসে নফল ছিয়াম পালন করে, সে এ মাসেও সেই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী ছিয়াম রাখতে পারে। শেষ রাতে উঠে যদি নফল ছালাত আদায়ের অভ্যাস থাকে, তবে এ মাসের রাতগুলোতেও ছালাত আদায় করতে পারে।
শরীআতে এদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো আমল করার দলীল নেই। আমাদের সমাজে শবে মি‘রাজ উপলক্ষ্যে যে আমলগুলো দেখা যায়, সেগুলো হলো- (ক) ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করা, (খ) ছিয়াম রাখা, (গ) উমরার নিয়্যত করা ও আদায় করা এবং (ঘ) কবর যিয়ারত করা।
ঐ দিন এই সকল ইবাদত পালন করা বিদআত। জ্ঞানহীন ও দ্বীনের ব্যাপারে গাফেল ধর্মান্ধ মুক্বাল্লিদ কিছু নামধারী আলিমের ফৎওয়ার ভিত্তিতে আমাদের সমাজের মুসলিমদের মি‘রাজ উপলক্ষ্যে সারা রাত নফল ছালাত এবং দিনে ছিয়াম রাখতে দেখা যায়। অথচ তাদের কাছে এর কোনো দলীল নেই। তাদের দলীল হলো- বাজারে প্রচলিত কতিপয় ভ্রান্ত বিদআত নির্ভর বই-পুস্তক। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, নফল ছালাত আদায় করা, নফল ছিয়াম রাখা এগুলো কি বিদআত? নফল ইবাদতের আবার দলীল লাগবে কেন? ঐ দিন এই সকল নফল ইবাদত করা যাবে না তার দলীল কোথায়?
এর জবাবে আমরা এ কথাই বলব, কথাগুলো সত্য, কিন্তু উদ্দেশ্য খারাপ। এগুলো সব মস্তিষ্কপ্রসূত শয়তানী যুক্তি! সমাজে বিদআত এভাবেই প্রতিষ্ঠা পায়। কুরআন-হাদীছের দলীল ছাড়া কোনো কাজ ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না। তাছাড়া কোনো ইবাদতকে কোনো দিবসের সাথে সম্পৃক্ত করতে হলে, সেখানেও দলীল লাগবে। দলীলবিহীন আমল কখনোই আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহনযোগ্য হবে না। বরং বিদআত করার কারণে এর পালনকারী কঠিন গুনাহগার হবেন। আর দলীল হলো কুরআন-হাদীছ অথবা ছাহাবায়ে কেরামের আমল।
লক্ষ্য করুন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিন্তু মি‘রাজের পরের দিনই ৃমৃত্যু বরণ করেননি। পরের বছরও তাঁর মৃত্যু হয়নি; বরং তিনি বেঁচে ছিলেন আরও ১০/১১ বছর। এই বছরগুলোতে তিনি কোনো দিন মি‘রাজের রাত উপলক্ষ্যে ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করেছেন অথবা নফল ছিয়াম রেখেছেন এ মর্মে একটি ছহীহ হাদীছও পাওয়া যায় না। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই দিনকে কোনো ইবাদতের উপলক্ষ্য বানালেন না, সেই দিনকে কীভাবে আমরা ইবাদতের উপলক্ষ্য বানাতে পারি? আমরা কি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে শরীআত সম্পর্কে বেশি অবগত হয়ে গেছি? অথবা আমরা কি এমনটা ভাববো যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ইবাদত পালনের কথা তাঁর উম্মতদের বলতে ভুলে গেছেন? (নাউযুবিল্লাহ)
এমনকি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো ছাহাবী, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈ এমন আমল করেছেন তার প্রমাণ নেই। তাঁরা যা করেননি, আমাদের তা করার উদ্দেশ্য কী? ‘মায়ের চাইতে মাসীর দরদ বেশি’-এর মতো হয়ে গেল না তো ব্যাপারটা?
সালাফে ছালেহীন এ মর্মে একমত যে, ইসলামী শরীআতে অনুমোদিত দিন ছাড়া অন্য কোনো দিবস উদযাপন করা বা আনন্দ-উৎসব পালন করা বিদআত। কারণ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে স্পষ্ট বলেছেন, مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ ‘যদি কেউ আমাদের এই দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’।[7]
সুতরাং মি‘রাজ দিবস অথবা শবে মি‘রাজ পালন করা দ্বীনের মধ্যে সৃষ্ট সুষ্পষ্ট বিদআত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পর তাঁর ছাহাবী, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈ থেকেও এ দিনকে উপলক্ষ্য করে কোনো ইবাদত করার প্রমাণ পাওয়া যায় না। অথচ সকল ভালো কাজে তারা ছিলেন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী।
সুতরাং এ দিবসকে কেন্দ্র করে যে কোনো ইবাদত করা হোক না কেন, তা বিদআত হিসাবেই পরিগণিত হবে। তাই আসুন! এই বিদআত থেকে নিজে বাঁচি, পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনকে বাঁচাই। আল্লাহ আমাদের বিদআত ছেড়ে সারা জীবন ছহীহ আমল করার ক্ষমতা দিন। তিনি আমাদেরকে সকল অবস্থায় তাওহীদ ও সুন্নাহর উপর আমল করার তাওফীক্ব দান করুন এবং শিরক ও বিদআত থেকে হিফাযত করুন- আমীন!
[1]. লাতাইফুল মা‘আরেফ, পৃ. ১৬৮।
[2]. আল-বাসী, পৃ. ১৭১।
[3]. ছহীহ বুখারী, ‘সন্ধি-চুক্তি’ অধ্যায় (ই.ফা.), হা/২৫১৭।
[4]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮।
[5]. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হা/৩৭৬, ৩৭৭।
[6]. আল-মাদখাল, ১/২৯৪।
[7]. ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৩৮৪, ৪৩৮৫; আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৬; আহমাদ, হা/২৬০৯২।